জামালপুরের মেলান্দহে উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের গাজিপুর বাজার ও জামালপুর সদর উপজেলা মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর বাজার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের মাথারবাড়ি পর্যন্ত ঝিনাই নদী থেকে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন মহাৎসব। এতে হুমকির মুখে পড়ছে নদীর তীরবর্তী দু-পাড়ের কৃষি ফসলি জমি।সরজমিনে দেখা যায়, ড্রেজার মালিক কাপাশহাটিয়া গ্রামের মিন্ঠু ,নয়ন, সুজা ,গুদুকানা হায়দর,আরংহাটি আছাদুল্লাহ, ফারুক, ও ঘোষের পাড়া গ্রামের তাজেল সহ নাম না জানা বালুখেকুর একটি সংঘবদ্ধ দল। প্রশাসনের নজর ফাঁকি ও প্রশাসনের সাথে চোর - পুলিশ খেলে অবাধে রমরমা এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বালু খেকুদের খুটিঁর জোর কোথায়?
বালু খেকুদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান- প্রশাসনের সাথে কথা বলে এখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, আমাদের জমি থেকে বালু উত্তোলন করছি কাউকে কোনো কিছু বলতে হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বালু খেকুর শ্রমিকরা বলেন -ভাই নদীর জমির মালিককে দিতে হয় প্রতি হাজার মাটির জন্য ২ হাজার ৫শ ও ড্রেজার মালিকে দিতে হয় ২,হাজার ৫শ আপনি আসছেন নাম্বার দিয়ে যান মালিক আসলে বলব আপনার বিকাশে অন্যদের মতো কিছু দিয়ে দিমুনি তবুও কিছু বলিয়েন না। আমাদের মালিক ভাল সবাইকে টাকা দিয়েই অনেকদিন যাবৎ এই ব্যবসা করে আসছে।ড্রেজার মালিক আছাদুল্লাহ বলেন ভাই সবাই আসে ২শ,৩শ টাকা নিয়েই চলে যায়, আপনি আইছেন ৫শ টাকা নিয়ে চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি জানান, উত্তোলনকারীরা আওয়ামীলীগের কোন না কোন ছত্র ছায়ায় আইনের তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আমাদের দু পাড়ের কৃষি আবাদি জমি ফসল সহ ধসে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে তারা নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি, তবে কেউ যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ হারুনুর রশিদ
বার্তা সম্পাদক : জাকির হোসেন শাকিল
আইন উপদেষ্টা : এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন
"এইচ বাংলা মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত -দেশ যুগান্তর"
অফিস : পুরানা পল্টন, ঢাকা- ১০০০।
ই-মেইল : news.deshjugantor@gmail.com
যোগাযোগ : 01763592492
Copyright © 2024 দেশ যুগান্তর. All rights reserved.