অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম জানিয়েছেন, আজ বিকেল সাড়ে চারটায় হিমুকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান এক যুবক। সেখানে চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই ওই ছেলে হিমুর ফোন-ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গেছে।
সেই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- ‘আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে পারছি না। শুনেছি, সে তার প্রেমিক হতে পারে। যেহেতু এখনও পোস্টমর্টেম হয়নি, তাই আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেটাও বলা যাচ্ছে না। আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই একটি বিবৃতি দেব।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চলছে আত্মহত্যা করেছেন হুমায়রা হিমু। এ প্রসঙ্গে রওনক হাসান বলেন, ‘হিমু আর নেই এটা নিশ্চিত হয়েছি। তবে কীভাবে মারা গিয়েছে, তা আমরা এখনো জানতে পারিনি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।’
জানা যায়, হুমায়রা হিমুর মরদেহ এখন উত্তরার বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজে রাখা হয়েছে।
এদিকে শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘হিমুকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন হুমায়রা হিমু। এরমধ্যে ‘ডিবি’, ‘সোনাঘাট’, ‘চেয়ারম্যান বাড়ি’, ‘শোনে না সে শোনে না’ অন্যতম। ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় হিমুর। মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিত হয় এ চলচ্চিত্র। এতে অসাধারণ অভিনয় করে সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়ান এই অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, হুমাইরা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন।
দেশ যুগান্তর/আরজে