ওয়ানডে এবং টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বাদ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম সেরা এই দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জয় এত দিন অধরাই ছিল বাংলাদেশের জন্য। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সেই অতৃপ্তিও দূর হলো। পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৩১ রান করেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছে ২৩ রানে। মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তরুণ বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ম্যাথু ওয়েডের অস্ট্রেলিয়া দলকে।
‘মিরপুরের উইকেট বুঝতে পারাটা খুব জরুরি’—ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কথাটা বেশ কয়েকবারই বলেছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আজ মিরপুরের উইকেটে মাহমুদউল্লাহর দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঠিক তত রানই করল, যতটা বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের স্পিন স্বর্গে আগে ব্যাট করে ১৩১ রান করেও বোলারদের নৈপুণ্যে জিতেছে বাংলাদেশ। ২৩ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের ১৩১ রান শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সহজই মনে হচ্ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের প্রথম তিন ওভার শেষেই গল্পটা গেল পাল্টে। অফ স্পিনার মেহেদী হাসানের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারি। নাসুম ও সাকিব আল হাসানের পরের দুই ওভারে নেই জস ফিলিপি ও মোজেস হেনরিকেস। প্রথম তিন ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ৫ নম্বর দল অস্ট্রেলিয়া। অল্প রান করেও তখন থেকেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের স্বাদ নিয়ে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই দারুণ ফর্মে থাকা মিচেল মার্শ বাদে অস্ট্রেলিয়া দলের কেউই বাংলাদেশের স্পিন ও পেসারদের গতির বৈচিত্র্য বুঝে উঠতে পারেননি। মার্শ একাই দলের আশা বাঁচিয়ে রাখেন ৪৫ বলে ৪৫ রান করে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে নেই আর কোনো ২০-ঊর্ধ্ব রানের ইনিংস।
বাংলাদেশ দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নাসুমের শিকার ৪ উইকেট। ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছেন তিনিই। এ ছাড়া উইকেটের দেখা পেয়েছেন মেহেদী, সাকিব, মোস্তাফিজ ও শরীফুলও। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে কালই।