শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দেশকে ভালোবাসতে হবে—জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন যুবদলের সদস্য সচিবকে নিয়ে গুজব রটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ‎জমিসংক্রান্ত জেরে শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টা, থানায় অভিযোগ ‎ নিউজ প্রকাশের পর পরিসংখ্যানের জাকির কর্মকর্তা থেকে কর্মচারী ইতালিতে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি  দিবস পালন করা হয়   ‎যৌন-হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রায়পুরের পরিসংখ্যান কর্মচারী জাকিরের বিরুদ্ধে ‎ রায়পুরে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইতালি ভিস্নেজা প্রবীনছের কাউন্সিলর এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আলোচিত সেই সোহেলকে অব্যাহতি

আদ্রা হাইস্কুলে প্রধান শিকক্ষের লাগামহীন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ভূয়া কমিটি গঠন

মোঃ ছামিউল ইসলাম, জামালপুর
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
  • ৬৯৫ বার দেখা হয়েছে

 

আদ্রা আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক খন্দকার গোলাম মোস্তফা তোতা কর্তৃক বিদ্যালয়ের অর্থ হরিলুট, যথাসময়ে অডিট না করা, কোচিং বাণিজ্য, সরকারি পরিপত্রের অমান্য করে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অধিক অর্থ আদায়,বিদ্যালয় পরিচালনায় অনিয়ম ও অনিয়মিত আগমন- প্রস্তাব এবং ম্যানেজিং কমিটি গঠনে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক খন্দকার গোলাম মোস্তফা তোতা বির্তকিত নানা সিদ্ধান্তের কারণে স্কুলটিতে এখন অনিয়ম আর দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে ঐতিহ্যবাহী এ স্কুলটির সুনাম নষ্ট হতে বসেছে।

 

নির্বাচনে তফশীল গোপন করে নিজের সোহধর ভাই সরকারি কর্ককর্তা ( নায়েব) খন্দকার মুসা অভিভাবক সদস্য মনোনীত করা, গোপনে দাতা সদস্য জিয়াউল হক মুক্তা এবং নিজের পছন্দের শিক্ষকদের দিয়ে কমিটি গঠনে জেসমিন হয়ে উঠেছেন বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা তোতার পাতানো নির্বাচন আয়োজনে বিদ্যালয়ের ভোটারদের সরকারি তালিকার পাশাপাশি আরো একটি ভুয়া তালিকা করেছেন বলেও অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।

 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আদ্রা আদ্রা আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়টি মেলান্দহ একটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুজি করে তোতার লালিত’ ম্যানেজিং কমিটির সহযোগীতায় প্রধান শিক্ষক নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 

প্রতিহিংসার আখড়া খ্যাত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৫/৬পদটি শুণ্য থাকায় প্রধান শিক্ষকের ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে শুণ্য পদটি পুরন করার চেষ্টায় মগ্ন হয়েছেন।

 

শুধু তাই নয়, তার মতের বিরুদ্ধতা কারী শিক্ষকদের ব্যাপক মানসিক নির্যাতন করা হয়।

গোপনে অনলাইনে প্রেরিত কমিটির সভাপতি নেমাগ্রস্ত জিয়াউল হক মুক্তা,সদস্য সচিব খন্দকার গোলাম মোস্তফা তোতা ( প্রধান শিকক্ষ) প্রধান শিকক্ষের ছোটভাই সদস্য খন্দকার মুসা নায়েব,সদস্য ভাইয়ের শশুর (তাওই) খলিলুর রহমান,সদস্য (চাচাতো ভাই) খন্দকার আমিনুর ইসলাম, মহিলা সংরক্ষিত সদস্য ( সম্পর্কে ভাই বৌ) শিখা, শিক্ষক প্রতিনিধি প্রিয়পাত্র জেসমিন,বাইরে থেকে আসা (প্রবাসি) সদস্য -লান্জু প্রমুখ।

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম এলাহি আকন্দ জানান- আমি কমিটির গঠন ও সার্বিক বিষয়ে কিছু জানি না। একাডেমী সুপার ভাইজার আশরাফুল সাহেব জানে।তবে কমিটি অনুমোদন হওয়ায় আগ পর্যন্ত আমি অনেক বার প্রধান শিক্ষক তোতা সাহেব কে দেখা করতে বলেছিলাম। তিনি দেখা না করে ফোনে কথা বলতে চায়।আজ কমিটি অনুমোদনের কপি ও সভাপতিকে সাথে নিয়ে আমার কাছে এসেছে। আমার সামনে বসে থাকা অবস্থায় মাননীয় সাংসদ আলহাজ মির্জা আজম এমপি তিনাকে না জানিয়ে গোপনে ও দূর্নীতির আশ্রয়ে কমিটি করার কারণে সাস্পেনশনে পাঠানোর কথা বলে এবং প্রধান শিক্ষক খন্দকার গোলাম মোস্তফা তোতা মির্জা আজম মহোদয়ের উত্তরে বলেন – আমার চাকুরি আছে আর মাত্র ৪ মাস কিভাবে চাকুরি খাবেন? এই কথাগুলো আমি পাশে থেকে শুনেছি।

বিদ্যালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও গোপনে কমিটি ঘটন করার অভিযোগ আমি শুনেছি,তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কমিটি বাতিল করতে পারবে। কমিটি ঘঠনে

সরকারি পরিপত্র মোতাবেক না হওয়ায় ইতিমধ্যে একাধিক অভিভাবক মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মির্জা আজম এমপি,প্রেসক্লাব,ডিসি,ইউএনও বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে।

 

লোভ পড়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়ন্ত্রিত একটি সিন্ডিকেটের। যার কারণে শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মনোমালিন্য ও দ্বন্ধ। যার প্রভাব পড়ে পাঠদানে। এরই ফলে বিগত তিন বছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে চরম বিপর্যয় ঘটে।

 

তিনি আরো জানান, আসন্ন ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনেও প্রধান শিক্ষক স্বজনপ্রীতি আর অনিয়মের মাধ্যমে দূর্নীতির রামরাজত্ব অব্যাহত রাখার জন্য তথাকথিত ব্যক্তিদের দিয়ে পরিকল্পিত ও সাজানো কমিটি গঠনের ছক চূড়ান্ত করেছেন। অতীতে কোন কমিটি এভাবে হয়নি। মনে হয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে অনিয়মকে ঢাকার চেষ্টা হিসেবে এভাবে কমিটি করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর উচিত বিদ্যালয়ে অনিয়মের ডালপালা আরো ছড়িয়ে পড়ার আগেই সমস্যা নিরসনে সোচ্চার হওয়া। প্রধান শিক্ষক খন্দকার গোলকম মোস্তফা তোতার দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ না হলে শুধু ভবন ও মাঠ পড়ে থাকবে শিক্ষার্থী থাকবেনা।বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর ও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102