সাহিত্য ডেক্সঃ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির উদার গণতান্ত্রিক ইসলামী ভাবধারার একটি ছাত্রসংগঠন। ১৯৭৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সরকারের আমলে অনেক বাধা-বিপত্তি ও ছড়াই উৎরাই পেরিয়ে সংগঠনটি এদেশের ছাত্রসমাজের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রশিবির কখনোই কেন্দ্রীয় সংগঠন সহ কোন পর্যায়ে তার সংগঠনকে হাইড করেনি।এযাবৎকালে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সেক্রেটারীদের নামের তালিকা গুগলে সার্চ করলে ধারাবাহিকভাবে পাওয়া যায়।কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক সরকারের আমলে তাদের দমন নিপিড়নের ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছাত্রশিবির বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে সিচুয়েশন অনুযায়ী রাজনৈতিক পরিচয় হাইড রাখতে বাধ্য হয়েছে।এই পরিস্থিতির জন্য সবসময় জুলুমবাজ সরকারগুলোই দায়ী।এবার আসি আন্ডারগ্রাউন্ড কিংবা আত্মগোপন পলিটিক্স নিয়ে। ছাত্রশিবির হাইডে গিয়ে কখনো দেশবিরোধী কিংবা ছাত্রসমাজের স্বার্থবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডে জড়ায়নি বরং বিভিন্ন সামাজিক প্লাটফর্ম এর ব্যানারে ছাত্রদের অধিকার আদায় সহ অনেকধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।এথেকে প্রমাণিত হয়, ছাত্রশিবির আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠন নয় বরং সময়ের প্রয়োজনেই ছাত্রশিবির কে কিছুটা হাইডে গিয়ে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়েছে। এবার আসেন,এখন কেন ছাত্রশিবির বিভিন্ন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে আসছে?এটা খুবই সহজ সমীকরণ ছাত্রশিবির একটা বৈরি পরিবেশে তার নেতা-কর্মীরা তাদের রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল এবং বর্তমান ফ্যাসিস্ট পতনে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিল।বর্তমানে স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে আর এক এক করে ছাত্রশিবির এর নেতারা তাদের পরিচয় সামনে নিয়ে আসছেন। আর এর কারন কোন আত্মপ্রচার নয় কিংবা আন্দোলনে একক ক্রেডিট নেয়ার কোন তৎপরতাও নয়। এর একটাই কারন,ছাত্রশিবির কে ফ্যাসিস্টরা আন্ডারগ্রাউন্ডে যেতে বাধ্য করেছিল।এখন যেহেতু তাদের বিদায় হয়ে গেছে সুতরাং আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে রাজনীতি করার কোন প্রশ্নই আসেনা আর শিবির অহেতুক আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্সও করেনা।সুতরাং দেশ ও ছাত্রসমাজের প্রয়োজনেই ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে চেলে আসছে।
এ-থেকে প্রমাণিত হলো যে,ইসলামী ছাত্রশিবির কোন আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনৈতিক দল নয় এবং কখনো বাধ্য না হয়ে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও হাইড করেনি।
সময়ের প্রয়োজনে ইসলামি ছাত্রশিবির দেশমাতৃকার জন্য সবসময় জীবন দিতেও প্রস্তুত ইনশাআল্লাহ। সম্প্রতি স্বৈরাচার হাসিনার বিদায়ে ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং অকাতরে জীবন দেয়া প্রমাণ করে ছাত্রশিবির একটি দেশপ্রেমিক ছাত্ররাজনীতির সাহসী ঠিকানা।
মুহাম্মদ ইউনুস
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির
প্রাক্তন সভাপতি
রায়পুর সরকারি কলেজ ও
লক্ষ্মীপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক (প্রাক্তন)
লক্ষ্মীপুর শহর।