দীর্ঘদিন পর গত রবিবার খুলছে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শ্রেণীকক্ষ, বিদ্যালয় আঙ্গিনা, ওয়াসরুম ইত্যাদি পরিচ্ছন্ন কাজ সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পাঠদানের কলাকলীতে পূণরায় মূখরিত হয়ে উটেছে শিক্ষাঙ্গণগুলো।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘ ১৮ মাস পর খোলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রথমেই বিদ্যালয়গুলো জীবাণু নাশক ছিটিয়ে ধোঁয়া-মোছার কাজ করেছে। এরপর চলমান ডেঙ্গুসংক্রমণ ঠেকাতে মশার ওষুধ ছিটানো হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে এসকল বিষয় তদারকি করছেন হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।
হাটহাজারীর সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ এনিয়ে ব্যস্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর হতেই। তবে শেষ মূহুর্তে এসে এখন চলছে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাসমূহের নিঁখুত বাস্তবায়নের প্রস্তুতি।
যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল না সেইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের হাত দোওয়া জন্য নতুন করে বেসিন বসানো হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করতে দেখা যায় বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাঝে এই মাক্স বিতরণ করেন।
ফটিকা রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জাফর বলেন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা
১২ ই সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খুলে দিয়েছে নির্দেশনার আলোকে ১২ তারিখ খোলার প্রস্তুতি সম্পূর্ন করে
আল্লাহর রহমতে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাস্ক, সেনিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেঞ্চে বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার পূর্বে প্রতিটি বিদ্যালয়ের গেটে শিক্ষার্থীদের জ্বর মেপে তাদেরকে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ ১৮ মাস পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোলাহল দেখা দিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে।’গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর সকাল নয়টা থেকে হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করেছে ।
উপজেলা মাধ্যমিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা অফিসার এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছেন- হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম।
তিনি জানান- ৪০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৯ টি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি আমরা। এতে স্কুলসমূহের নেয়া প্রস্তুতি সন্তোষজনক মনে হয়েছে’ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে বাঁচতে সরকার নির্দেশিত সকল বিধি-নিষেধ প্রতিপালনের পরামর্শ দেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রায়হান। তিনিও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যদের সাথে সভা করেন।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দেন এভাবে সরকারের নির্দেশ যতদিন বলবত থাকবে ততদিন বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহাম্মদ শাহিদুল আলম।