বরগুনার আমতলীতে খাস জমির দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী ও বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে আমতলী উপজেলার মহিষকাটা বাজারে।
জানা গেছে,উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের আশ্রাফ মৃধা ও অদুদ মৃধার মধ্যে মহিষকাটা বাজারের খাস জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু উভয় পক্ষই সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানছেন না এমন দাবী স্থানীয়দের। আশ্রাফ মৃধার দখলে থাকা খাজ জমি বুধবার গভীর রাতে ওদুদ মৃধা ও তার লোকজন দখল করতে যায় এমন অভিযোগ আশ্রাফ মৃধার। ওই সময় দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত নাশির মৃধা (৪০) আশ্রাফ মৃধা (৫০), ফেরদৌস মৃধা (৪৫), আলিম মৃধা (৩২) ও আহসান মৃধাকে (৩০) স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাদের সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। অপর দিকে আহত অদুদ মৃধা (৪৫), খুকি বেগম (৩২) ও বাবলুকে (২৫) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত আশ্রাফ মৃধার স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, গত ৩০ বছর ধরে খাস জমিতে দোকান ঘর ও বসতভিটা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। ওই জমি অদুদ মৃধা তার দাবী করে বুধবার রাতে আমাদের বাড়ীতে হামলা করেছে। এতে আমার স্বামীসহ তার পাঁচ ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে অদুদ মৃধা ও তার লোকজন। তিনি আরো বলেন, এ জমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু অদুদ মৃধা সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানেনা। তিনি গায়ের জোড়ে জমি দখল করতে চায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে অদুদ মৃধার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা বলেন, গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন,এখনো অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা)