বরগুনার আমতলীতে শিক্ষক লাঞ্চিতের প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে উপজেলার আঠারগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,অভিভাবক,ছাত্র-ছাত্রী দের অংশ গ্রহনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আঠারগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গাজী গোলাম ফারুক ,সাধারন সম্পাদক হানিফ মিয়া,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম,সাংগঠিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন,শিক্ষক নেতা আব্দুল হক,আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার মুকুল,সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মন্নান খান মন্টু,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনোয়ার গাজী ,সহকারী প্রধান শিক্ষক মেজবাউদ্দিন কামাল,(প্রমুখ) অষ্টম শ্রেণরি ছাত্র মাসুম কে পরীক্ষা দিতে না দেয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ আবদুল জলিল গত২৯ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ বার্ষীক পলীক্ষা চলাকালীন সময়ে উক্ত ছাত্রের পক্ষ নিয়ে বিদ্যালয়ের সিনয়ির শিক্ষক রুহুল আমিন কে চাপ দিলে শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া আমি পরীক্ষা নিতে অপারগ।
পরীক্ষা নিতে না চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল জলিল বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন হাওলাদারকে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে অকথ্য ভাষায় গালাগালী করা সহ তাকে লাঞ্চিত করে এবং চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয় ।
পরে উক্ত আবদুল জলিল মাদবার কাইয়ুম মৃধার ছেলে মাসুম কে দিয়ে রুহুল আমিন কে আসামী করে ছাত্র পিটানোর মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ৩০ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ আমতলী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে বলে রুহুল আমিন জানান।
মামলাটি তদন্তের জন্য আমতলী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জিয়াউল হক এর উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান ,মাসুম বিদ্যালয়ে আসে না তাছাড়া মাদক সেবন, ইভটিজিং সহ নানা অপরাধে জড়িত । ইতিপূর্বে ঐ ছাত্রের কাছ থেকে অঙ্গিকার নামাও নেয়া হয়েছে। এ জন্যই তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার অনুমতি দেয়া হয়নি।
প্রতিবাদ সভায়
বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জলিল মাতুব্বর এর সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানান।