বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের মেয়ে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে পুলিশকে আজ আবার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক চুন্নু মিয়া আজ কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেশকাত শুকরানা এ আদেশ দেন।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত পুলিশ মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য ছয় বার সময় নিলো।
অভিনেত্রী শিমু কলাবাগানের বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর গত ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পর শিমুর ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার গাড়িচালক এসএমওয়াই ফরহাদসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে তারা পৃথক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে নোবেল বলেন, ১৬ জানুয়ারি রাতে ঝগড়ার পর তিনি তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
নোবেল সারা রাত লাশের সাথে ছিলেন এবং পরদিন সকালে তার বন্ধু আবদুল্লাহ ফরহাদকে তার গ্রীন রোডের বাড়িতে ডাকেন। পরে বন্ধুর সহায়তায় নোবেল কেরানীগঞ্জে লাশ ফেলে দেন।