বনভোজন মানে আনন্দ পূর্তি প্রবাসে ব্যস্ত জীবনের ভালোলাগা মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করে নেওয়া। সেই সাথে নিজ এলাকার প্রবাসীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ঐক্য আরো দৃঢ করার প্রত্যয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে গতকাল রোববার( ২৯ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয়েগেল হবিগঞ্জ জেলা এসোসিয়েশন অব মিশিগান-র বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা।
দুপুরের পর থেকেই ওয়ারেন সিটির ৩০০১ ইষ্ট ১৩ মাইল রোডস্থ হলমিছ পার্কে একে একে পরিবার পরিজন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন প্রবাসী হবিগঞ্জবাসী। বিকেল ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বনভোজনে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ মইনুল ইসলাম। পবিত্র গীতা পাঠ করেন কালী শঙ্কর রায়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপরপরই বনভোজনে উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ জেলা এসোসিয়েশন অব মিশিগান-র সভাপতি ডা: ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী। এ সময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা সৈয়দ আলী রেজা, হ্যামট্রাম্যাক সিটির প্রাইমারি নির্বাচনে নির্বাচনে বিজয়ী দুই বাংলাদেশি আমেরিকান কাউন্সিলম্যান আবু আহমেদ মুসা এবং মুহিত মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন হ্যামট্রাম্যাক সিটির কাউন্সিলম্যান কামরুল হাসান, মিশিগানের অন্যতম কমিউনিটি একটিভিষ্ট নাজেল হুদা, বাংলা প্রেসক্লাব মিশিগান ইউএসের সভাপতি হেলাল উদ্দীন রানা, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ফেরদৌস, সহসভাপতি সেলিম আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা চৌধুরী পাপড়ি, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল রেজা, কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল হাসান চৌধুরী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শফিকুর রহমান, দৈনিক খোয়াই সম্পাদক শামীম আহসান, আমাদের মিশিগানের সম্পাদক মঈনুল হক আলম, সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদক চিন্ময় আচার্য্য, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান প্রমুখ।
এরপর সুস্বাদু মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন সকলেই। মেনু্যতে ছিল সাদা ভাত, মুরগীর রোস্ট, খাশির রেজালা, সালাদ। সাথে ছিল কোমল পানীয়।মধ্যাহ্নভোজের পর শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান ও খেলাধূলা। গান পরিবেশন করেন ড. আব্দুর রশীদ, প্রীতা দেবনাথ, শফিক আহমেদ, মঈনুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী কাওছার, এবং এড. বজলু।
বনভোজন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব শেখ মো. তাজ উদ্দিনের পরিচালনায় বিভিন্ন খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ইভেন্টে আগত নারী পুরুষ ও ছোট ছোট বাচ্চারা অংশগ্রহণ করে। খেলাধুলায় বিজয়ীরা হলেন ৫-৭ বছরের ছেলেদের দৌড় প্রতিযোগিতায় ১ম তাকসিন, ২য় সরব ও ৩য় সুলতান। ৫-৭ বছরের মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতায় ১ম আতিকা, ২য় ঈশা ও ৩য় জান্না। ৮-১২ বছরের ছেলেদের দৌড় প্রতিযোগিতায় ১ম বিবেক রায়, ২য় উমায়ের রহমান, ৩য় সাফায়েত। ৮-১২ বছরের মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতায় ১ম উজমা হক, ২য় আবিকা ও ৩য় সামিয়া। ছেলেদের ২শ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় ১ম সাংবাদিক আশিকুর রহমান, ২য় জাহান ও ৩য় নির্জর।
মহিলাদের বালিশ খেলায় প্রথম হয়েছেন- মিশিগান প্রতিদিনের সম্পাদক ফারজানা চৌধুরী পাপড়ি, ২য় জেসমিন ও ৩য় হ্যাপি। ফুটবল প্রতিযোগিতায় হবিগঞ্জ জেলা এসোসিয়েশন অব মিশিগান-র সভাপতি ডা: ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খেলা শেষে বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সবশেষে ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। র্যাফেল ড্রতে বিজয়ীরা হলেন – প্রথম পুরস্কার আই ফোন স্পন্সর করেছেন ইমরাজ তালুকদার টিপু, বিজয়ী হয়েছেন আশরাফ খান সুমন। দ্বিতীয় পুরস্কার ৬৫ ইঞ্চি টেলিভিশন স্পন্সর করেছেন লিবাস কুটুয়ার বিজয়ী হয়েছেন নাজেল হুদা। তৃতীয় পুরস্কার ৫৫ ইঞ্চি টেলিভিশন স্পন্সর করেছেন আবু মুসা বিজয়ী হয়েছেন দিপ্ত গোপ। চতুর্থ পুরস্কার ল্যাপটপ, স্পন্সর করেছেন বেঙ্গল ইন্সুরেন্স, বিজয়ী হয়েছেন চিন্ময় আচার্য্য। পঞ্চম পুরস্কার এ্যাপল ওয়াচ স্পন্সর করেছেন নাসির সবুজ, বিজয়ী হয়েছেন নাজেল হুদা। ষষ্ঠ পুরস্কার স্যামসং ফোন স্পন্সর করেছেন টাকা গিফট এন্ড ভ্যারাইটি বিজয়ী হয়েছেন আরহান। সপ্তম পুরস্কার এয়ার পডস স্পন্সর করেছেন রিয়েলেটর মাহফুজুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন জেনি খান। অষ্টম পুরস্কার ট্যাবলেট স্পন্সর করেছেন এ মার্ট গোসারি বিজয়ী হয়েছেন আরিফ। নবম পুরস্কার মাইক্রোওভেন স্পন্সর করেছেন ডিসকাউন্ট জেনারেল (কনান্ট) বিজয়ী হয়েছেন সাথি, ১০ম পুরস্কার ডিনার সেট স্পন্সর করেছেন হোম এসেনশিয়েল বিজয়ী হয়েছেন হাসানুল ইসলাম পারভেজ। নীল রঙের ৫০টি শার্ট উপহার দেন সৈয়দ কাহির মিতু। র্যাফেল ড্র পরিচালনা করেন ডা: ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দ আলী রেজা, আলী আকবর, আনোয়ার হোসেন, অহিদুজ্জামান, শামীম আহছান, আলী আজগর। আশরাফ খান সুমনের নেতৃত্বে র্যাফেল ড্রয়ের টিকিট বিক্রি হয়।
এবারের বনভোজন বাস্তবায়ন কমিটির কর্মকর্তারা হলেন- মো: মোস্তফা কামাল আহ্বায়ক এবং শেখ মো. তাজ উদ্দিন সদস্য সচিব। অন্যান্য সদস্যরা হলেন মো: ছায়েদুল হক, মঈন উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী শাম্মু, আয়াত আলী, আশরাফ খান সুমন, আতাউর রহমান, মাহফুজ রহমান শাহীন, সৈয়দ আবুল খয়ের মিতু, সাংবাদিক তোফায়েল রেজা সোহেল, শাহীন আহমেদ, রিবু চৌধুরী, উবায়দুল মান্নান, তোফায়েল, রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, রাব্বানী তালুকদার কাইজার, এড. মো. মোশাররফ, মনজু চৌধুরী, এম এ রাজ্জাক এবং অভিনাশ গোপ। কো-অর্ডিনেটরগণ হলেন, লুৎফুর রহমান সেলু, মিজান মিয়া জসিম এবং সাংবাদিক আশিকুর রহমান। পৃষ্টপোষক হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন আমিনুর রশীদ চৌধুরী কাপ্তান, সাংবাদিক শামীম আহছান, সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদক চিন্ময় আচার্য্য, আজগর আলী, নজরুল ইসলাম, শাহ হারুনুর রশীদ স্বপন, আব্দুল মতিন, মো: আনোয়ারুর রহমান, ওয়াহিদুজ্জামান আগা, উবায়দুর রহমান, আব্দুছ ছোবান মেম্বার প্রমূখ।