পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে গ্রুপিং নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ ছাত্রলীগকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের দেবীপুর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সদ্য বিলুপ্ত পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সাধারন সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনকের গ্রুপ না করায় দীর্ঘদিন ধরে রাসেল গ্রুপ ও নিয়াজ মাহমুদ গ্রুপের ভিতর দ্বন্দ চলে আসছে। এরই রেশ ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ সমঝোতার কথা বলে তার সহযোগী মামুন, ইমরান, হাফিজুল, সাগর সহ ১০/১৫ জন ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষ রাসেল গ্রুপের উপর লোহার রড, জিআই পাইপও হাতুড়ি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় তাদের হামলায় রাসেল (১৬)সহ তার গ্রুপের স্বদেশ (১৬), জহির (১৯), শহিদুল (১৮), রিয়াজুল (১৮) এবং নিয়াজ গ্রুপের হাফিজুল (১৫) ও মামুন (২৫) সহ ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহতরা পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত ছাত্রলীগকর্মী রাসেল জানান, সদ্য বিলুপ্ত পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সাধারন সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনকি গ্রুপের গ্রুপ না করায় নিয়াজ মাহমুদ তার দলবল নিয়ে আমাদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে।
এ বিষয় জানতে হামলার সাথে জড়িত উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়াজরে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান ছগির জানান, ছাত্রীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয় থানায়ও একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তবে বিষয়টি মিমাংশার চেষ্ট চলছে।
ইন্দুরকানী থানার (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।