পিরোজপুর ইন্দুরকানীতে খেলনা পিস্তল ও পুলিশি সরঞ্জামসহ ভুয়া সি আইডির অফিসার পরিচয়দানকারী ১ জনকে গ্রেফতার করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন বাগেরহাটের রামপাল থানার বর্নি এলাকার মোঃ মনিরুজ্জামান শেখ এর ছেলে ও ইন্দুরকানী পত্তাশী ইউনিয়নের চরনী পত্তাশী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে জামাই নাইমুল হাসান।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর ) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের চরনী পত্তাশী গ্রামে নাইমুল হাসানের শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।
এ সময় তার হেফাজত থেকে পুলিশ লেখা ১টি জ্যাকেট, ১টি প্যান্ট, ১টি বেল্ট, ১টি খেলনা পিস্তল, ২টি ওয়াকিটকি, ও দুটি পুলিশের আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নাইমুল হাসানের সাথে তার শ্বশুর বাড়ি এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। এ সময় নাইমুল হাসান তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন বড় অফিসার ও তাহার অনেক ক্ষমতা রয়েছে এবং অনেককে পুলিশে চাকুরী পাইয়ে দিয়েছে বলে জানায় শফিকুল ইসলামকে। তার কথা শুনে এক পর্যায়ে মোঃ শফিকুল ইসলাম তার ভাই সজীব ও প্রতিবেশী মোঃ আবু তালেবকে পুলিশের চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে নাইমুল হাসান তাদেরকে পুলিশের চাকুরী পাইয়ে দিবে বলে আশ্বাস প্রধান করে। এবং মোঃ শফিকুল ইসলাম এর নিকট থেকে পুলিশের চাকুরী দেওয়া বাবদ নগদ চল্লিশ হাজার টাকা ও আবু তালিবের নিকট থেকে নগদ বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরে ভুয়া পুলিশ সদস্য নাইমুল হাসান আরো কিছু টাকা দিতে হবে এই বলে মোঃ শফিকুল ইসলামকে তার শ্বশুর বাড়িতে আসতে বললে তারা সেখানে যায়। তখন নাইমুল হাসান তার চাকুরীর সত্যতা প্রমাণ করার জন্য তার কাছে থাকা পুলিশের ব্যবহৃত সরঞ্জাম দেখায়। এসময় নাইমুল হাসানের কাছে থাকে পুলিশের সরঞ্জাম দেখে শফিকুল ইসলামের সন্দেহ হলে তিনি এলাকাবাসীকে খবর দিলে তখন তারা এসে নাইমুল হাসানকে আটকিয়ে রেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এই বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন গতকাল রাত ১১ টার দিকে নাইমুল হাসান নামে পুলিশের বড় অফিসার পরিচয় দেওয়া এক ভুয়া পুলিশের সদস্যকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসয় তার নিকট থেকে পুলিশ লেখা ১টি জ্যাকেট, একটি প্যান্ট, ১টি বেল্ট, ১টি খেলনা পিস্তল, ২টি ওয়াকিটকি, ও দুটি পুলিশের আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনিপদক্ষেপ গ্রহণ করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।