পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের প্রলোভনে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক ও তার বোনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রেমিক রিদয় ব্যাপারীকে (২০) এবং আজ শুক্রবার সকালে তার বোন শিখা সরকারকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন রিদয়। একপর্যায় দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । রিদয় ব্যাপারী বিয়ের প্রলোভনে গত ৫ মে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওর ভয় দেখিয়ে রিদয় স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে স্কুলছাত্রী শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় ১৪ ও ২০ নভেম্বর ছাত্রীর নামে ফেইসবুক আইডি খুলে রিদয় ব্যাপারী ওই ছাত্রীর ধর্ষণের আপত্তিকর ভিডিও, ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ভাইরাল করেন।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগীর বাবা মনচ মন্ডল গতকাল রাতে বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে কলেজ ছাত্রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত রিদয় ব্যাপারী ও সহযোগী তার বোন শিখা সরকারকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামি সুব্রত সরকারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।