উখিয়া উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের পূর্ব ডিগলিয়া পালং সীমান্ত জনপদের ইয়াবা বাজার হাকিম আলী(প্রকাশ বর্মাইয়া হাকিম আলী)”র নিয়ন্ত্রনে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব ডিগলিয়া পালং সীমান্ত এলাকায় আত্নগোপনে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকা শীর্ষ ইয়াবা কারবারী ইয়াবা হাকিম আলী দিনমজুর থেকে এখন মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে সীমান্তের এপার ওপারে একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট তৈরী করে আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার চোখকে ফাকি দিয়ে রাতারাতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে হাঁড়ি হাঁড়ি ইয়াবা পাচার করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু দেখার কেউ নেই ?
বার্মাইয়া হাকিম আলী মায়ানমার থেকে ১৫/২০ বছর আগে ফালিয়ে আসার পর দিনমজুর কাজ করত এবং ক্ষেতি কাজ করত এখন হাজার ইয়াবা পাচার করে হাকিম আলী বর্তমানে ব্যাটারী চালিত ৪ টি টমটম গাড়ির মালিক ও স্ত্রী শাহিনা আক্তার এর নামে ব্যাংকে লাখ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে বলে জানান।
ইয়াবা হাকিম আলী দিনমজুর থেকে লাখপতি হলেও তার প্রথম স্ত্রী শাবেকুন্নাহারের প্রথম ছেলে ১লাখ ৫০ পিস, ১৫ কার্ট ইয়াবাসহ কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি আমতলী ক্যাম্পের হাতে আটক হয়।
হাকিম আলী বর্তমানে বসবাস করে পূর্ব ডিগলিয়া পালং, সে স্হানীয় সৈয়দ মিয়ার মেয়ে শাহিনা আক্তার কে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে প্রথম স্ত্রী শাবেকুন্নাহারকে ছেড়ে দেন। তার প্রথম স্ত্রী অন্য একজনকে বিয়ে করে দূঃখে দূঃখে দিনকাল চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি সংশ্লীষ্ট প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও উক্ত ইয়াবার সাথে জড়িত আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকা শীর্ষ ইয়াবা ডন হাকিম আলী আটক করতে সক্ষম হয়নি।
সচেতন মহলের আভিযোগ, অতি শিঘ্রই হাকিম আলীকে গ্রেপ্তারপূর্বক কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।