রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি: নেত্রকোনা-২ (নেত্রকোনা সদর-বারহাট্টা) আসনে এবার লড়ছেন দুই এমপি। যারা নৌকার মাঝি হয়ে সংসদ সদস্য হিসাবে দুই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী’র দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। এবার অন্যান্য প্রার্থী থাকলেও আসনটিতে আওয়ামী লীগের দুইজন থাকায় জমে উঠেছে নির্বাচন।
দুইজন হলেন: বর্তমান সংসদ সদস্য ও সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। অপরদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এবার লড়ছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে।
গত (১৮ ডিসেম্বর) সোমবার নেত্রকোনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনীত প্রার্থীর দলীয় প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝে তাদের পছন্দসই প্রতীক বরাদ্ধ দেয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে নির্বচনী আমেজ।
এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও পাঁচজন প্রার্থী। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোছাঃ রহিমা আক্তার আসমা সুলতানা (লাঙ্গল), ইসলামি ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ ইলিয়াস (মিনার), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) প্রার্থী এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার (নোঙ্গর), বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী আজহারুল ইসলাম খান (ডাব) এবং সুব্রত চন্দ্র সরকার (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে।
অন্যান্য প্রার্থীদের আমলে না নিলেও সাধারণ মানুষ ভাবছে এবার আওয়ামী লীগের দ্বিমুখী লড়াই ভাল জমবে। এমনটা আশা করছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই সমান তালে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছে দুই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। গণ-সংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ভোটের দিন যতো এগিয়ে আসছে, প্রচারণা ততই বাড়ছে। শহর এলাকার পাশাপাশি প্রচারণা তুঙ্গে গ্রামাঞ্চলেও।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজদের নির্বাচনী এলাকা নেত্রকোনা সদর ও বারহাট্টা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌকা মার্কায় ভোট চান আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু। এসময় ভোটারদের উন্নয়নের নানান প্রতিশ্রুতি দেন। জনগনের কাছে তুলে ধরেন বিগত ৫ বছরের উন্নয়নের চিত্র। তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ব্যাপক ভোটে হারিয়ে জয় লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, দেশের মানুষ এখন নৌকা ছাড়া অন্য কোথায় ভোট দিতে চায় না। মননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা দিয়েছেন, জনগণ আমার পাশে আছে আমি শতভাগ নিশ্চিত আমিই জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
অপরদিকে ঈগল মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রভাবশালী প্রার্থী আরিফ খান জয় বলেন, এই আসনটিতে গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী’র দ্বায়িত্ব পালন করি। গতবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথায় আমি এ আসন ছেড়ে দেই। এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই সবাইকে নির্বাচন করার অনুমতি দিয়েছেন। তাই আমি এবার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে আছি। এই আসনে আমার জনপ্রিয়তা ব্যাপক রয়েছে। আশা করছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার আমি সংসদে যেতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ভালো এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।