অন্যায়ভাবে নজরদারি ও বাকস্বাধীনতায় বাধা দেওয়ায় বিশ্বের প্রধান তিনটি বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হয়েছে গুগল, ফেইসবুক ও টুইটার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিনি আলাদা আলাদা মামলা করেছেন।
মামলায় তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে যুক্ত করা বাকস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।
তিনি বলেন, এই তিনটি প্রযুক্তি সংস্থা অন্যায়ভাবে তার ও অন্যান্য রক্ষণশীলদের বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার আগে পরীক্ষা ও নজরদারি করতো।
গত জানুয়ারিতে ক্যাপিটল ভবনে সমর্থকদের দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার পর এ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে ট্রাম্পের দাবি, তিনি এ সব প্রতিষ্ঠানের সেন্সরশিপের শিকার। মামলায় নিজের ওপর আরোপিত সেন্সরশিপ প্রত্যাহারের আবেদনও করেছেন।
বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাখ্যানের কারণে মাঝে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু করেন ট্রাম্প। কিন্তু মাস খানেকের মাথায় বন্ধ করে দেন।
বুধবার ট্রাম্প বলেন, আমরা দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্লোরিডার মিয়ামির জেলা আদালত বরাবর আমেরিকান জনগণের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর অবৈধ ও লজ্জাজনক পরীক্ষা ও নজরদারি অবিলম্বে বন্ধের আবেদন জানাচ্ছি।
ফেইসবুক, টুইটার ও গুগল এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর তিন প্রধান নির্বাহী যথাক্রমে মার্ক জুকারবার্গ, জ্যাক ডরসি ও সুন্দার পিচাই এ সব মামলার প্রধান বাদী।
অবশ্য মামলা সম্পর্কে ক্যালিফর্নিয়া ভিত্তিক প্রযুক্তি সংস্থা বা তাদের নির্বাহীরা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি।