জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি স্থায়ী কমিটির সদস্য দূর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বরেন্য রাজনীতিবিদ এমএ জলিল চেয়ারম্যান এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন। ১০ আগষ্ট নোয়াখালীর বেগমগন্জের দূর্গাপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে হাজার হাজার মানুষ অশ্রুসজল নয়নে তাকে বিদায় জানায়। তার অকাল মৃত্যু সবার জন্য বিশাল শুন্যতা এবং জেএসডি সংগঠনে মৃত্যু দলের দৈন্যতাকে ব্যাপকভাবে ফুটিয়ে তুলেছে বলে ফেইসবুকে এডভোকেট কাউসার নিয়াজী দাবী করেছেন ।তিনি বারডেম হাসপাতালে অনেকদিন চিকিৎসারত ছিলেন। দলের কাউকে উনাকে দেখতে যাওয়ার কথা শুনা যাইনি বলেও লিখেছেন । তার লাশ যখন বারডেমের ICUতে, খবর পাওয়ার পর ও দলের পক্ষ থেকে সেখানে কেউ যায়নি বলে এমন দাবি। করেছেন।বারডেমের ICU থেকে লাশ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গোসলের পর রাত সাড়ে ৯ টায় যখন প্রথম জানাজা তাতে ও দলের পক্ষ থেকে কেউ অংশ গ্রহন করেনি। কি দূভাগ্য, দলের পক্ষ থেকে তার কপিনে একটা ফুল দিয়ে তাকে বিদায় জানানোর কোন প্রয়োজন জেএসডি কেন্দ্রীয় কমিটি প্রয়োজন বোধ করেনি।
এডভোকেট বেলায়েত হোসেন বেলাল মৃত্যু সংবাদ শুনে বারডেমে ছুটে গেছেন। গোসল, জানাজায় তিনি ছিলেন। উনি ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন, দলের পক্ষ থেকে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে এডভোকেট কাউসার নিয়াজী লিখেছেন ।
এমনটিই তো হলো এমএ জলিল চেীধুরী ভাগ্যে! দলের যে অবস্থা কিংবা দলকে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে , এই অবস্হায় দলের পক্ষে জীবিত কিংবা মৃত কারো প্রতিই কোন দায়িত্ব পালন করা সন্ভব নয়। করোনা কি শুধু জেএসডি দলের জন্যই? কিনি আরো লিখেছেন জলিল ভাইয়ের প্রতি দলের অবহেলা আমাকে নিদারুণ ভাবে মর্মাহত করেছে। ফেসবুকে দেখলাম, জলিল ভাইয়ের লাশ যখন গোসল হচ্ছে, প্রথম জানাজা হচ্ছে তখন দলের কেউ কেউ মোবাইলে ঢাকা বিভাগের মিটিং এর প্রর্দশনী করছে। এটা কি জলিল ভাইয়ের প্রতি চরম পরিহাস নয়?
আমি দীর্ঘ দিন থেকে বলে আসছি দল চলছে না। দলকে ঠিকমত চালাতে হবে। ফেসবুকে বলার কারনে দলের সবচাইতে সুবিধাবাদী ও সুবিধাভোগী কেউ কেউ আমার পেছনে লেংটা পোলাপান ও কুত্তা লেলিয়ে দিয়েছে। ঐ লেংটা পোলাপান ও কুত্তা কারা লাগিয়েছে তা আমি জানি। দুঃখ জলিল ভাইয়ের মত নেতার মৃত্যুর পর তার প্রতি দলের সন্মান শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা দায়িত্ববোধ কোনটাই ছিল না। জেএসডি দলটি এত অমানবিক অকার্যকর ভাবতে কষ্ট লাগে। একটি চক্র দলটিকে বিবৃতি সর্বস্ব দলে পরিনত করেছে। জলিল ভাইয়ের জন্য খুবই খারাপ লাগছে।