কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতের বালুচরে পুঁতে রাখা তিমির কঙ্কাল বের হয়ে এসেছে। সেগুলো সৈকতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
গতকাল রোববার দুপুরের জোয়ারের ধাক্কায় সৈকতের দরিয়ানগর ও হিমছড়ি সৈকতে পাঁচটি স্থানে তিমির কঙ্কাল বের হয়ে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রাত আটটা পর্যন্ত কঙ্কালগুলো সৈকতে পড়েছিল। কঙ্কালগুলো সংরক্ষণে প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থলে যাননি।
গত ৯ ও ১০ এপ্রিল হিমছড়ি সৈকতে ভেসে এসেছিল ১৫ ও ১০ টন ওজনের দুটি মৃত তিমি। সেগুলো বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। আড়াই মাস পর তিমির কঙ্কালগুলো সংগ্রহ করে জাদুঘর কিংবা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের মিউজিয়ামে সংরক্ষণের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিমির কঙ্কালগুলো ভেসে উঠে বালুচরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বলেন, সৈকতে তিমির কঙ্কাল ভেসে ওঠার খবর তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজখবর নিয়ে কঙ্কালগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবেন।
সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, দরিয়ানগর সৈকতে প্যারাসেইলিং পয়েন্টে পড়ে আছে তিমির কঙ্কাল। জোয়ারের পানিতে কঙ্কালটি প্লাবিত হচ্ছে। দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।দরিয়ানগর এলাকার বাসিন্দা ও পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের সভাপতি পারভেজ মোশাররফ বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে জোয়ারের ধাক্কায় দরিয়ানগর সৈকতে কঙ্কালের অংশটি ভেসে ওঠে। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, জোয়ারের পানিতে তা ভেসে এসেছে। পরে দেখা গেছে, সেটি ১০ এপ্রিল বালুচরে পুঁতে ফেলা একটি তিমির মেরুদণ্ডের অংশ। বিকেলে দরিয়ানগর সৈকতের উত্তর দিকে হিমছড়ি এলাকার কয়েকটি স্থানে কঙ্কালের আরও চারটি টুকরা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এগুলোও পুঁতে ফেলা তিমিটির কঙ্কালের অংশ।
পরিবেশবাদী আরেক সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, গত ৯ ও ১০ এপ্রিল ভেসে আসা পৃথক দুটি তিমি সংরক্ষণের লক্ষ্যে বালুচরে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। মাংস ঝরে গেলে কঙ্কালগুলো বালু থেকে উত্তোলনের কথা ছিল।কিন্তু তার আগেই কঙ্কালগুলো জোয়ারের ধাক্কায় বের হয়ে গেছে। এখন এগুলো সংগ্রহ করা না হলে জোয়ারে ভেসে যেতে পারে বা সাগরের বালুচরে হারিয়ে যেতে পারে।
মৎস্যবিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা ধারণা করেন, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জাহাজের ধাক্কায় অথবা প্লাস্টিক বর্জ্য খেয়ে ওই তিমি দুটোর মৃত্যু হয়েছিল।