চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী থানাধীন জুলধা ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ডে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক ব্যক্তির জমিতে বাড়ি নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আবুল কালামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সম্প্রতি ভুক্তভোগী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং ৩৪/২০২৪
অভিযুক্ত আসামীরা হলেন কর্ণফুলী থানার জুুুলধা ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ডে অলির বাপের বাড়ীর আহমদ কবির প্রকাশ মনু মিয়ার পুত্র আবুল কালাম (২৪), শফিউল আলম প্রকাশ শেখ মোহাম্মদের পুত্র মো. আজগর প্রকাশ বাবুল (২২), আহমদ কবির প্রকাশ মনু মিয়ার পুত্র আলী হোসেন (২৮), আহমদ কবির প্রকাশ মনু মিয়ার পুত্র মো: বাদশা (২০), মৃত শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৪৬)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী থানাধীন জুলধা ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম (২৪), মো. আজগর প্রকাশ বাবুল, আলী হোসেন (২৮), মো: বাদশা (২০), আছিয়া খাতুন (৪৬) তাদের সাথে ভুক্তভোগী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে তার বসত বাড়ী জমি নিয়া অনেক দিন যাবৎ বিরোধ চলছিলো। জরিনা খাতুন, নুরুল হক ও নূর জাহানের কাছ থেকে বিভিন্ন তারিখে ছাফ বিক্রি কবলা মূলে খরিদ করে নামজারী খতিয়ান সৃজন করে তফসিলোক্ত ভূমিতে ঘর নির্মণ, পাকা দেওয়াল ও টিনের ঘেরা দিয়ে ভোগ দখলে আছে জাহাঙ্গীর আলম।
ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় এ এসে আবুল কালাম, মো. আজগর প্রকাশ বাবুল, আলী হোসেন, মো: বাদশা, আছিয়া খাতুনেরা গালিগালাজসহ রাস্তাঘাটে বিভিন্নভাবে অপমান করে এবং ভূমি হতে চলে যাওয়ার জন্য হুমকী প্রদান করে। তাদের ক্রয়কৃত ভূমিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে হলে তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। সন্ত্রাসীরা প্রায় সময় গভীর রাতে জাহাঙ্গীরের টিনের চালে এবং ঘরের মূল ফটকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, ভয় এবং আতংক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে জানালে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সমাধান করে দেন এবং সন্ত্রাসীরা জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারকে আর কোন হয়রানী করবেন না বলে জানান।তথ্য সুএ বা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিনিধি জানান তাদের আসল সব কিছুর মদদদাতা হচ্ছে,, শেখ আহমদ( সিএনজি) ড্রাইভার
১ম ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ বিগত ২১/০১/২৪ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১.৩০ টার সময় ১-৫ নং সন্ত্রাসীসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লাঠিসোটা ও দা, কিরিছ নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তফসিলোক্ত জাহাঙ্গীরের বসতভিটায় ও বসতঘরে প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। ১-৪ নং সন্ত্রাসীগণ জাহাঙ্গীরকে এবং তার পুত্র মোঃ জাহিদুল ইসলামকে লাঠি দিয়ে মারধর, কিল-ঘুষি, চড়- থাপ্পড় ও লাথি মারতে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় ১নং সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে জাহাঙ্গীরকে তার বসত ঘর হতে চিরতরে উচ্ছেদ করবে এবং জাহাঙ্গীর ও তার পুত্র জাহিদুল ইসলামকে অপহরণ করে লাশ টুকরা টুকরা করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সর্বশেষ ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ বিগত ২৩/০১/২৪ ইং তারিখ অনুমান সকাল সাড়ে ৯ টায় জাহাঙ্গীর তফসিলোক্ত ভূমিতে ডেইরী ফার্মের পুনঃ নির্মাণ কাজ করার জন্য মিন্ত্রিদের নিয়ে ডেইরী ফার্মের কাজ শুরু করলে ঐ সময় অতর্কিতভাবে ১-৫ নং সন্ত্রাসীরা সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী দলবদ্ধ হয়ে তফসিলোক্ত জায়গায় এসে জাহাঙ্গীরকে ও কাজে নিয়োজিত মিন্ত্রিদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। ১নং সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে পুনরায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
ভুক্তভোগী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রায় সময় সন্ত্রাসীরা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে, আমি আদালতের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা দলিলদী পুড়ে যাওয়ার জন্য আমার ঘরও জ¦লিয়ে দিয়েছিল।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা আছে। জাহাঙ্গীরকে যদি কোন হুমকী ধমকী দেয় তিনি যদি আইনগত ব্যবস্থা চায় আমি যে কোন সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।
জুলধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হককে জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি জাহাঙ্গীর আলমকে তার ন্যায্য পাওনা শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছি। আর কোন সমস্যা থাকলে আমার সাধ্যানুযায়ী ব্যবস্থা করে দেব।উক্ত ঘটনার বিষয় নিয়ে জুলাধা৫ নং ইউ পি সদস্য সেলিম মেম্বার এর সাথে কথা বলে জানা যায় এখানে জাহাঙ্গীর সম্পুর্ন ভাবে সটিক, সেখানে কিছু অসাধু ব্যাক্তি জাহাঙ্গীর এর কাছ থেকে টাকা বা চাঁদা চাওয়ার জন্য উটে পড়ে লেগেছে,, আর কিছু না। এবং জুলধা ইউনিয়ন ভুমি অফিস থেকে দেওয়া রিপোর্টে তারা লেখেন শান্তি ভঙের আশংকা আছে, রিপোর্ট করেন, মোঃ মোস্তায়িন বিল্লাহ, ভুমি সহকারী কর্মকর্তা, জুলধা ইউনিয়ন ভুমি অফিস, কর্ণফুলী চট্টগ্রাম।#