মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একইদিনে শরমীন আক্তার আছমা (১৯) ও পাখি আক্তার সুমী (২৫) নামে দুই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কুলাউড়া পৌর শহরের সাদেকপুর ও উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হিঙ্গাজিয়া এলাকা থেকে ওই দুই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
কুলাউড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া পৌর শহরের সাদেকপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুছ সোবহানের স্ত্রী শরমীন আক্তার সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষপান করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গৃহবধুর অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে গৃহবধুর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে তিন বছর আগে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হিঙ্গাজিয়া এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম হাসানের সাথে কুলাউড়া পৌর শহরের বাসিন্দা মোস্তফা মিয়ার মেয়ে পাখি আক্তার সুমীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের কোন সন্তান না হওয়ায় গৃহবধুর স্বামী আরেক বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে স্বামী জহরিুলের সাথে সুমীর কলহ চলে আসছিলো। সোমবার বিকেলের দিকে সুমী ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
কুলাউড়া থানার এস আই বিদ্যুৎ পুরকায়স্থ জানান, গৃহবধু শরমীনের ১৮ মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামী একটি ডিলারশীপ কোম্পানীর গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভাব অনটন ও সাংসারিক টানাপোড়নের কারণে হয়তো বিষপান করেছেন ওই গৃহবধু।
কুলাউড়া থানার এস আই নাজমুল হক জানান, খবর পেয়ে রাতে গৃহবধু সুমির লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহালে ওই গৃহবধুর শরীরে অন্য কোন আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, এসব ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় কোন অভিযোগ করেননি। মঙ্গলবার দুই গৃহবধুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।