গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ী থানার পারিজাত এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ে করেন। থানায় অভিযোগে পর থেকে ওই ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
ধর্ষণকারী হলেন, পিরোজপুর জেলার সদর থানার সিকদার মল্লিক গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে শেখ মাহফুজুর রহমান(৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন আগে জীবিকার খোঁজে বাঘেরহাট থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে হালিমা বেগমসহ দুই ছেলে ও ছয় মেয়েকে নিয়ে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। ওই কিশোরী ও ধর্ষক শেখ মাহফুজুর রহমান হরিণাচালা পারিজাত মোড়ের একটি ঝুটের গোডাউনে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তাঁর কুপ্রস্তাবে রাজি হননি ওই কিশোরী। গত রবিবার সকালে ওই কিশোরী দেওয়ালীয়াবাড়ি এলাকায় বড় বোনের বাসায় বেড়াতে যায়। পরে তাঁর বড় বোন সকাল ৮টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় ডিউটিতে চলে যায়। আগে থেকে উৎপেতে থাকে ওই ধর্ষক । সকাল নয়টার দিকে ওই কিশোরীর বোনের বাসায় গিয়ে দরজায় টুকা দিলে সরল মনে দজা খুলে দেয় ওই কিশোরী। পরে রুমে প্রবেশ করে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ কওে দেয়। এসময় ওই কিশোরীকে পেছন থেকে হাত- মুখ চেপে ধরে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এবং ধর্ষণের ঘটনা কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার সময় ওই কিশোরীর বড় বোন বাসায় এসে দেখে তাঁর ছোট বোন কান্নাকাটি করছে। কান্নাকাটি কেন করছে তা জানতে চাইলে ধর্ষণে বিষয়টি খুলে বলে। ফোনের মাধ্যমে ধর্ষণে বিষয়টি ওই কিশোরীর মা’কে জানালে তিনি দৌড়ে বড় মেয়ে বাসায় চলে আসে। পরবর্তীতে ওইদিন বিকেলে ধর্ষিতার মা হালিমা বেগম ধর্ষক মাহফুজুর রহমানের নামে কোনাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে তবে ওই ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।