খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার ২৪২ নং পূজগাঙ মৌজার মিজ্জিটিলার মধু মঙ্গল কার্বারী পাড়ার সুনামধন্য কার্বারী বিশিষ্ট সমাজকর্মী প্রখ্যাত মরুব্বী সমাজ সেবক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব প্রবীন কার্বারী প্রয়াত শ্রীযুক্ত মধু মঙ্গল কার্বারী (চাকমা) ৮৪ বছর বয়সে বার্ধন্য জনিত কারণে তাঁর নিজ বাস ভবনে গত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রি সকাল সাড়ে আটটায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করে পরলোকে গমণ করেছেন। অনিচ্চাবত সাংকারা। সব্বে সত্ত্বা সুখিতা ভবন্তু।
আজ দুপুর ২ টার পর তাঁর অন্তেষ্ঠিক্রিয়া যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র পূজনীয় বৌদ্ধ ভিক্ষু সঙ্ঘের উপস্থিতিতে বুদ্ধ মূর্তীদান, সঙ্ঘ দান, অষ্টপরিখ্কার দান, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া সাধারণ জনগণ পঞ্চশীল গ্রহণসহ, নানাবিধ দানানুষ্ঠানের মাধ্যমে সুসম্পন্ন করে গ্রামের মহাশ্মশানে অন্তেষ্ঠিক্রিয়া বা দাহক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
অন্তেষ্ঠিক্রিয়ার ধর্মীয় দানানুষ্ঠানে প্রয়াত মধু মঙ্গল কার্বারীর উদ্দেশ্যে স্মৃতিস্মারণ করেন শ্রীযুক্ত পরিমল চাকমা (সুৎপল), খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সম্মানীত সদস্য শ্রীযুক্ত সতীশ চন্দ্র চাকমা প্রমূখ।
শ্রীযুক্ত সতীশ চন্দ্র চাকমা আরো বলেন, প্রয়াত মধু মঙ্গল কার্বারী স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহু জনহিতকর সামাজিক কর্মকাণ্ড তাঁর জীবদ্দশায় করে গেছেন। তিনি আমাদের একজন অভিভাবক হিসেবে কাজ করে গেছেন। মধু মঙ্গল কার্বারী অত্যন্ত একজন সৎ ব্যক্তিত্ববান চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন। আজ আমরা একজন সত্যিকারের জ্ঞানী অভিভাবককে হারালাম।
তিনি পুত্র-কণ্যা নাতি-নাতনিসহ বহু আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন। প্রয়াত মধু মঙ্গল কার্বারী গ্রামের প্রধান নন। তিনি পানছড়ি সরকারী ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। এছাড়া মধু মঙ্গল পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা। তিনি খুবই অমায়িক, বুদ্ধিমত্তার অধিকারী, দয়ালু জনদরদী
প্রয়াত মধু মঙ্গল কার্বারীর অন্তেষ্ঠিক্রিয়ার ধর্মীয় দানানুষ্ঠানে পূজনীয় ভিক্ষু সঙ্ঘের প্রধান পরম পূজ্য শ্রীমৎ জ্যোতি সার:মহাস্থবির বলেন প্রয়াত মধু মঙ্গল কার্বারীর স্মরণে বহু গুণাবলীর কথা উল্লেখ করেন । তিনি তাঁর গুণাবলীর কথাবার্তগুলো অত্যন্ত গুণসম্পূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। শ্রদ্ধেচচয় জ্যোতি সার: বভা্ন্তে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের কথা বর্ণনা করতরন ভান্তে বলেন বুদ্ধও কর্মবিপাক হতে মুক্ত হতে পারেননি। তথাগত মহাকারুণিক ভগবান গৌতম বুদ্ধও বুদ্ধ হয়েও বারটি (১২) বিপাকের কর্মগুলোও জীবদ্দশায় ভোগ করে গেছেন বলে ভান্তে তাঁর দেশনায় উল্লেখ করেন। তিনি (ভান্তে) প্রয়াত মধু মঙ্গল কার্বারীর স্বর্গ সুখ উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধির জন্য মঙ্গল কামনা করেন। আর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া মানুষের প্রতিও সুখ শান্তি সমৃদ্ধির জন্য পূণ্য দান করেন।