জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে গাজীপুর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে দ্বিতীয় দিনে মতো অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ শুরু করে। এর আগে ১১ আগষ্ট বুধবার সকাল ১১ টা থেকে একই দাবীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাছে ফলাফল পূর্ণ মূল্যায়নের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করেন শির্ক্ষাথীরা ।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ( সম্মান ) চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের গত ২০ জুলাই ২০২১ তারিখে ফলাফল প্রকাশিত হয়। উক্ত পরিক্ষার ফলাফলে ৭২ শতাংশ কৃতকার্য হয় এবং বাকি ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য হয়। পরীক্ষার ফলাফলে ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে এক বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে এবং অনেকে সশরীরে পরীক্ষা দিলেও অনেক শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে বলেও দাবী করছে শিক্ষার্থীরা । চতুর্থ বর্ষের দশটি কোর্সের মধ্যে ৯টি তে প্রথম শ্রেণি পেলেও তুলনামূলক সহজ বিষয়ে যেমন সাংগঠনিক আচরণ, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিতে গণহারে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। স্বারক লিপি প্রদানের এক সপ্তাহ পর আবারও দ্বিতীয় দিনের মতা উক্ত ফলাফলে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ।
শিক্ষার্থী আরাফাত রহমান জানান, আমাদেও ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষা না দিয়েই ফাস্টক্লাস পায় কিভাবে। অথচ আমরা যারা পরীক্ষা দিয়েছি তারাই ফেল করে আছি। এরকম মনগড়া রেজাল্ট দিতে পারে এটাই মনে হয় সম্ভব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেন, যেহেতু শিক্ষকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছে সুতরাং এটার আর পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাদের আন্দোলন না করে বাসায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছি।