সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়েরী করা মামলার আসামী মাসুদ আহমদকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ।
মাসুদ আহমদ পৌর শহরের কুমনা-ভাজনামহল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র। ঘটনার প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করতে পারছে না। এতে মামলার বাদী শংকিত হয়ে পড়েছেন। গ্রামের একটি মহল মামলাটি ধামাচাপা দিয়ে আসামীকে রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ বাদি আব্দুস শহিদের।
জানা যায়, নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি এলাকার এক ষোড়শীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে নিয়ে আসে মাসুদ আহমদ। ঘটনার পরদিন ১৩ জুন ছাতক থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-৬৩১) করেন ওই ষোড়শীর চাচা আব্দুস শহিদ। ১৬ জুন পেপারমিল এলাকার একটি চায়ের দোকানে ষোড়শীকে নিয়ে আসে মাসুদ আহমদ। বিষয়টি দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে
ষোড়শীকে স্থানীয় সুনু মিয়ার বাড়িতে নেয়া হয়।
ষোড়শীর বক্তব্য অনুযায়ী পেপারমিলের একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে মাসুদ আহমদ। খবর পেয়ে আব্দুস শহিদ তার ভাতিজিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর থেকেই মাসুদ আহমদ পলাতক রয়েছে। ১৮ জুন বাতিরকান্দি গ্রামের তমিজ আলীর পুত্র আব্দুস শহিদ বাদী হয়ে মাসুদ আহমদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ ধারায় একটি মামলা (নং-১৫) দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দিপঙ্কর বিশ্বাস জানান, আসামী মাসুদ আহমদ পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দেশ যুগান্তর/আরজে