আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে গড়ে উঠা অবৈধ সেমাই কারখানা স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে,ল্যাট্রিন ও মাছে বাজারে নোংরা স্তুপের নিকটে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরি করছে ।
১৭ জুলাই (শনিবার) জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা ঝাউগড়া ইউনিয়নের মানকি সকাল বাজারে গড়ে উঠা অবৈধ্ সেমাই কারখানায় তৈরি কৃত সেমাই উপরে পাখি উডাউডি করে এবং বসে ঠুকরিয়ে ঠুকরিয়ে খাচ্ছে এবং মাশা মাছির উপদ্রব,শিশু শ্রমিক,কারিগরিদের স্বাস্থ্য বিধি তোয়াক্কা না করে না ম মাত্র একটি লাইসেন্স নিয়ে চলাচ্ছে এই কর্মকান্ড।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দির্ঘদিন যাবত কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে, কারখানা মালিক সরোয়ার – প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্যের তোয়াক্কা না করেই বছরের পর বছর চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ড। সচেতন মহলের মতে ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে আরও কঠোর ভাবে মনিটরিং প্রয়োজন মনে করেন।
এসব লাচ্ছা সেমাই, ভোক্তাদের চোখে যতটা রুচিশীল আর মুখরোচক, ঠিক ততটাই স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসব সেমাই। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মানকি বাজার থেকে এই সেমাই তৈরি হচ্ছে চরম অযত্নে। এ
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
নোংরা পরিবেশ, সব কিছু মিলে মিশে একাকার, স্যাঁতস্যাঁতে মেঝেতে পা দিয়ে বানানো হয় খামির, তারপর শ্রমিকের ঘামযুক্ত শরীরে ডান ও বাম হাতের কসরতে সেমাইর বল তৈরি করা হয়। গরুর চর্বি ও পামওয়েলের মিশ্রণে তথাকথিত ডালঢায় চুবিয়ে ভাজার জন্য প্রস্তুত করা হয়। শুরু হয় পোড়া তেলে সেমাই ভাজার নানা অভিযোগ এলাকা বাসীর।
আবার শুকাতে দেয়া সেমাই থেকে চুষে পড়া কথিত ডালডায় দেখা মেলে ইট, ময়লা আর্বজনা। সেই ডালঢা পুনরায় সেমাই বানানোর কাজে লাগানো হচ্ছে, এভাবে ভাজার কাজ চলে মাসের পর মাস।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চকচকে ‘ঘিয়ে ভাজা’ নাম দিয়ে লাচ্ছা সেমাই ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ভিভিন্ন ও আসপাশের বাজারগুলিতে । আর এসব সেমাই নানা রঙের মোড়কে বিভিন্ন কোম্পানীর নামে সোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, তারা জানে না কিভাবে সেমাই তৈরি করা হচ্ছে।
তবে ঘামযুক্ত ও নোংরা পরিবেশে তৈরি এই লাচ্ছা সেমাই মুখোরচক হলেও স্বাস্থ্যঝুকি মারাত্মক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দ্রুত এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা দরকার মনে করেন-এলাকার সুধিমহল।
বছর জুড়ে অভিযান হয়, আসে নতুন বছর, খাদ্য জালিয়াতি চক্র থেকে নিস্তার মেলেনা ভোক্তাদের। এজন্য সচেতনতার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর হবে এমনটাই প্রত্যাশা এই অঞ্চলের সচেতন মানুষের।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এর সাথে ফোনে যোগা্যোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) সিরাজুল ইসলাম জানান -অভিযোগ পেয়েছি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা ফুড কর্মকতা রাবেয়া ইসলাম রেখার সাথে কথা হলে তিনি জানান -খাদ্য নিয়ে ভেজাল করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবেনা। আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং দ্রুতই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।