মেলান্দহে ছাত্রলীগের নেতার পিতাকে মারধরের ঘটনায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায় ২৪ মে রাত ৮ টা দিকে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় ৯নং ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের পুর্ব ছবিলাপুর গ্রামে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রিফাত আহম্মেদ বাবুর পিতা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক নেতা জমশেদ আকন্দ( ৫৬)কে পুর্বের পারিবারিক কলহের জের ধরে উভয় পক্ষের মাঝে হাতা- হাতির ফলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পিতা আহতের ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আতাউর রহমান আলতাব জানান, ছাত্রলীগ সভাপতির পিতা সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা ছিলো এবং রিফাত আহম্মেদ বাবু বর্তমান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তাদেরই বংশের নিকটতম আত্মীয় ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলুদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো।কয়েকদিন আগে বাবলুদের ঘরের উপরে ঝুলে থাকা বাবলুদের কলা গাছের পরো ছরি / বাধা রিফাত পেরে নিয়ে গেলে একটা কলহ হয়। এটা তাদের পারিবারিক দীর্ঘদিনের কলহ।দলের কোন ইস্যু বা আমরা দায় দায়িত্ববহন করতে রাজি না।
এবিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত আহম্মেদ বাবু মুঠো ফোনে অভিযোগ করে বলেন, আমরা পিতাকে ও আমাকে পুর্বপরিকল্পত ভাবে হত্যায় উদ্দেশ্যে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমানের ছেলে বাবলু, রাজু নেতৃত্বে হামলা করে। আমার পিতা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছে।
এলাকাবাসী জানান, আহত জমশেদ আলী একজন কলহপ্রিয় লোক। সে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ নিয়ে থাকে। তার ছেলে ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় এখন জমশেদের কলহ ও ফটকামি আরো বেশি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নেতা জানান, পারিবারিক বিষয় দলে না টানাই ভালো। যদি তারা দলের নাম ভাংগিয়ে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটায় তাহলে দলের জন্য ক্ষতিকর হবে।
মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ২ বারের চেয়ারম্যান মো: ওবায়দুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- এই ইউনিয়নে আমি ১৫ বছর এক টানা মেম্বারি করেছি। ১০ বছর যাবৎ চেয়ারম্যানি করছি। ইউনিয়নের ৮৫% জনগন আমাকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসে ও সমর্থন করে। একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় করার জন্য আমার নামে, আমার ছেলেদের নামে মিথ্যা আপবাদ দিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি ও ব্যঙ্গ করে কার্টুন,ছবি নামে- বেনামে পোস্ট দিয়ে আসছে।
যার ফলশ্রুতিতে আমার ছেলেরা কাউকে ইঙ্গিত না করে বাড়ীর পাশে বাজারে ফেসবুকের বিষয়টি নিয়ে কথা বলে বাড়ী চলে যায়। এতে করে রিফাতদের লোকজনের গায়ে লাগে। রাগান্বিত হয়ে রিফাতে লোকেরা বের হয়ে এসে হট্রোগোল বাধায় এই হট্রোগুলে কার হাতে জমশেদ চাচা আহত হয় জানিনা। তবে আমি ছিলাম না এবং ছেলেরা বাড়ীতে ছিলো। ঘটনার কথা আমাকে ও আমার বড় ছেলে বাবলু কে ফোনে জানানো হয়। জমশেদের ছেলে রিফাতদের বক্তব্যে’ এ আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার চেষ্টা মাত্র এবং একদল লোক ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
দেশ যুগান্তর/আরএইচ