জামালপুরে গণটিকাদানের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে জামালপুর পৌরসভার পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সদর উপজেলার শরিফপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে এর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার সরকার, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শিমুল, শরিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দিতে আজ গণটিকার উদ্বোধন করা হলো। সারাদেশের ন্যায় আজ থেকে মেলান্দহ ,মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর ,দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদরসহ সাত উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ও ৭ টি পৌরসভায় ৪২ হাজার ৬ শত ডোজ, প্রধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ৭৯টি কেন্দ্রে ২১৩টি বুথে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম দিনে ৪২ হাজার ৬০০ টিকাদানের টার্গেট করা হয়েছে। জামালপুর পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ১২টি কেন্দ্রে প্রতিদিন টিকাদান দেওয়া হবে। প্রত্যেক সেন্টারে প্রতিদিন ২০০ করে টিকাদান দেওয়া হবে। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি সেন্টারে ৩টি বুথের মাধ্যমে ৬০০ করে টিকা দেওয়া হবে। সিভিল সার্জন আরও জানান, টিকাদান কেন্দ্রগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চালু থাকবে। প্রত্যেকটি বুথে ৫জন কর্মী কাজ করবেন। তাদের মধ্যে টিকা দেওয়ার জন্য ২জন ভেক্সিলেটর ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করবেন।
কোভিড-১৯ টিকাদন ক্যাম্পেইনে শুরুতে টিকা নেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন ।
এছাড়াও জেলা শহরে মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে নিদিষ্ট একটি টিকা প্রধান কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে সপ্তাহের ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন ১১শত ডোজ টিকা দেয়া হয়। জামালপুরের বৃহৎ জনগোষ্টিকে টিকার আওতায় আনার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্দ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।