মসজিদের কমিটি ও ইমাম নিয়ে দীর্ঘ দিনের চলমান বিবাদের জের ধরে ১১ জুন শুক্রবার জুম্মা নামাজের সময় উপস্থিত দুই ইমামের মধ্য কাকে দিয়ে নামাজ পড়বে সেটা নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যেই মসজিদের ভিতরে অবস্থানরত মুসল্লির উপর হামলা হলে ঐদিনের জন্য জুম্মা নামাজ পন্ড হয়ে যায় যেটা মসজিদ স্থাপিত হওয়ার পর মুসলিম দেশে এই ইতিহাসে প্রথম জুম্মা নামাজ খলাল হওয়ার রেকড তৈরি করে। পরে বিকেলে এই ঘটনায় হামলা কারী সুতারবাড়ী গং এর সাথে ফকির বাডী গংদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও উভয় পক্ষে মাঝে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে।এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০/১২ জন আহত হয়। এদের মধ্যেো রুকন,সাম্বল,নজরুল গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে।বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছে।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নে আনারবাড়ী ঘাটে দক্ষিণ শেখসাদী জামে মসজিদে।
এবিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ড় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার সরকার বলেন- জুম্মা নামাজে হামলা ও মসজিদের নামাজ না হওয়াটা আমি নিন্দা জানাই।তবে মসজিদ, ইমাম নিয়ে যারা বিবাদে জড়িয়ে রক্তারক্তি করেছে তাদের বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে আলহাজ ফারুক আহম্মদ চৌধুরির মাধ্যমে দোষিদে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয় হবে। মসজিদ কমিটির সাবেক সেক্রেটারি মোঃ বিপুল ও ওয়ার্ড় আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি নেকবর বলেন- আমাদের মসজিদে এখন কোন কমিটি নেই।এই কমিটি ও ইমাম নিয়ে অনেক দিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো এই দ্বন্দ্বের জন্য আজ মসজিদে জুম্মা নামাজ হলো না।আমরা সমাজে কলহ বিবাদ চাইনা। এলাকার মুরুব্বি ইব্রাহীম ফকির বলেন- আমি সভাপতি হতে চায়নি এবং ইমাম ৩য় পক্ষ থেকে যে কাউকে নিয়োগ দেয়া হোক আমাদের কোন আপত্তি নেই।অযথায় আমাদের নামে ও আমাদের উপর দোষ দিয়ে একদল লোক সমাজের শান্তি নষ্ট করছে আমরা এর সুষ্ট তদন্ত পুর্বক বিচার চাই। এই ব্যাপারটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছ।
দেশ যুগান্তর/আরজে