দেশের সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নতুন করে দুঃশ্চিন্তা ও ঝুঁকি তৈরী হয়েছে ঝিনাইদহে। করোনার এই মহামারিতে বিনা পাসপোর্টে যারা ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত অতিক্রম করছে তাদের নিয়ে জেলার সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্যবিভাগ উদ্বিগ্ন। মহেশপুর বর্ডার দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। বিজিবির হাতে আটকও হচ্ছে তারা। যদ্দরুন জেলার স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তাগনের নতুন করে চিন্তাদেখা গেছে।
মহেশপুর সীমান্তবর্তী নাটিমা গ্রামের মোঃ সাব্বির হোসেন জানান, বৈধ ভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশ আসার বর্ডার বন্ধ হওয়ায়, লকডাউনের পরে সীমান্তের বেড়া ভেদ করে প্রতিদিন দলে দলে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করছে। বিজিবির হাতে আটকও হচ্ছে অনেকে। তার পরও থেমে নেই অবৈধভাবে দেশে আসা। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মিথিলা ইসলাম বলেন, গত একমাসে ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা প্রায় ৬০ জন। ঝিনাইদহে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা মোট ৩টি। এরমধ্যে ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সম্পুর্ন আলাদাভাবে আজাদ রেষ্ট হাউসে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। পরে এর মধ্যে থেকে ৩জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এছাড়াও জেলায় করোনা ইউনিটে ৫০টি বেড রয়েছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন (সিএস) ডা. সেলিনা বেগম বলেন, ঝিনাইদহ ৩টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এ পর্যন্ত ২৩৭ জনকে রাখা হয়েছিল। এরমধ্যে ১৬৭জন করোনা নেগেটিভ ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ী ফেরৎ গেছেন। এখন আছে প্রায় ৭০ জন। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আমরা প্রথম থেকেই আলাদা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রেখেছি। তাদের মধ্যে করোনা পজেটিভদেরও কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতলেও আলাদা ইউনিটে রাখা হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা ভালো তারপরও বৈধ-অবৈধভাবে আগত করোনা আক্রান্তদের রিপোর্ট আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আছে কিনা তা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে রয়েছে ৭০ কিলোমিটারেরও বিশাল বর্ডার। আর এই বর্ডার দিয়েই রাতের আধারে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করছে।
দেশ যুগান্তর/আরজে