গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় শাহপরীর দ্বীপ হতে বিপুল পরিমানে খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানী তৈল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচার হবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন ঝাউবন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন অদ্য আনুমানিক ০০৫০ ঘটিকায় নাফ নদীর মোহনায় ০১ টি ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোটের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড সদস্য কর্তৃক বোটটিকে ধাওয়া করে নাফ নদীর মোহনা হতে জব্দ করে। এসময় তল্লাশী চালিয়ে ২১ বস্তা রসুন, ১৭ বস্তা চিনি, ০৩ বস্তা বিস্কুট ও আনুমানিক ৩৭ লিটার ডিজেল জব্দ করা হয়। এই অভিযানে কোস্টগার্ড আভিযানিক দল কর্তৃক ০৫ জন চোরাকারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়। তারা হলেন মোঃ তৈয়ব (৪৩), মোঃ সলিম (২৬), মোঃ জসিম উদ্দিন (১৮), মোঃ মজিবুল্লাহ (১৮) ও রিদওয়ান (২২)। তারা সকলেই টেকনাফ থানাধীন মিঠাপানিরছড়া ০১ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা।
এছাড়া একই দিন পৃথক একটি অভিযানে বিসিজি স্টেশন টেকনাফ কর্তৃক নাফ নদী সংলগ্ন বড়ইতলী এলাকায় ০২ টি ডিঙি নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা ০৪ বস্তা ডাল, ০৪ বস্তা চিনি, ০৭ বস্তা ময়দা, ১২০ লিঃ অকটেন, ৩৫ প্যাকেট বিস্কুট, ১০ প্যাকেট চকলেট, ০৪ প্যাকেট চানাচুর, ০৩ প্যাকেট সূজি, ১০ প্যাকেট হুইল সাবান, ০১ প্যাকেট নুডুলস, ০২ প্যাকেট আটা, ০১ কেজি মরিচের গুঁড়ো, ০১ কেজি চিনি, ০৪ কেজি ডাল, ০৫ লিটার পাম ওয়েল, ০২ টি স্টার শীপ দুধ ও অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রীসহ ০১ জন চোরাকারবারি আটক করা হয়। যার নাম শফিউল্লাহ (৪৮) এবং তিনি টেকনাফ থানাধীন বড়ইতলী এলাকার বাসিন্দা।
জব্দকৃত মালামাল সমূহের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট এবং আটককৃত চোরাকারবারিদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।