কক্সবাজারের টেকনাফ ইউপি সদস্যসহ ৬ জন আটক, করোনাকালেও থামছে না মাদকের কারবার। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন ও অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছে। এবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় পান বোঝাই ট্রাকে অভিনব পন্থায় আনা ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে পুলিশ। এসব ইয়বার বাজারমূল্য ৩০ লাখ টাকা।
২৩ জুন বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে জড়িত সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ ছয় মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার এবং ব্যবহৃত মিনি ট্রাকটি জব্দ করেছে।
তারা হলেন- মো. ইউনুছ (২৯), তিনি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে, আব্দুল আলীম প্রঃ আমিন (২৮), তিনি একই এলাকার আয়ুব আলীর ছেলে, কবির আহমদ প্রকাশ কবির সওদাগর (৪৬), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৃত আলী আকবরের ছেলে, আব্দুল জলিল (৫০), তিনি একই এলাকার মৃত তাজুল আহমদের ছেলে, সব্বির আহমদ (৬৪) (সাবেক মেম্বার), তিনিও একই এলাকার মৃত নাজির হোসাইনের ছেলে, হাসান আহমদ প্রকাশ হাসান সওদাগর (৫৫), তিনি টেকনাফ এলাকার সাবরাং ইউনিয়নের ছৈয়দ আহমদের ছেলে।
বুধবার তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান বলেন, ‘টেকনাফ থেকে পান বোঝাই মিনি ট্রাকে অভিনব কৌশলে ইয়াবাগুলো ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার ইয়াবাসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। এসময় মিনিট্রাকটিও জব্দ করা হয়।
তারিক রহমান আরও জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাদক পাচারের ট্রানজিট হিসেবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মিয়ানমার থেকে নৌ-পথে আসা ইয়াবার চালানগুলো কপবাজার থেকে সড়ক, রেল ও বিমানপথে ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারির কারণে ইয়াবার চালানটি ধরা পড়ল।
দেশ যুগান্তর/আরজে