নীলফামারী ডোমারে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক পদে ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রধান শিক্ষক। পরে নিয়োগ গ্রহনকারী বিষয়টি ভূয়া বুঝতে পেরে প্রতারণার মামলা দায়ের করলে, আদালতে হাজিরা দিতে যায় নিয়োগকারী প্রধান শিক্ষক। আদালত জামিন না মনজুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রধান শিক্ষক উপজেলার বামুনিয়া দ্বি মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ময়বুল ইসলাম। তিনি বুধবার(২৬ জুলাই) ভূয়া নিয়োগ দেওয়া প্রতারনা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত তার জামিন না মনজুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযোগে জানাযায়, বামুনিয়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম ২০১৪ সালে রেজাউল ইসলাম নামে একজনকে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেন। সেসময় তার কাছ থেকে ১২লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহন করেন প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম। নিয়োগ পত্রটি ভূয়া বুঝতে পেরে রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে ময়বুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৬লাখ টাকা গ্রহনের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ। গত বছরের ১৯সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে বাদীর হাতে ১লক্ষ টাকা দিয়ে আপোষ শর্তে জামিন পান। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করার সময় নেন আদালতে। সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বুধবার পূর্বের জামিন না মনজুর করে ময়বুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বাদীর আইনজীবী সাদেকুল ইসলাম বলেন, ময়বুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়। টাকা পরিশোধ শর্তে বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন দিয়েছিলো। কিন্তু সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বুধবার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার জামিন না মনজুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক ময়বুলের বিরুদ্ধে স্কুলের গাছকাটা, প্রতিবন্ধীর টাকা আত্মসাত, স্কুলের ফ্যান চুরিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
মোঃরিমন চৌধুরী,(নীলফামারী)