তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং লিঃ এর জোনাল বিক্রয় অফিস সোনারগাঁও এর কর্মরত সাবেক উপ-ব্যাবস্থাপক বর্তমানে জোনাল বিক্রয় অফিসের ব্যাবস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ মেজবাউর রহমান এবং ইএসএস শাখার সিনিয়র অফিস সহকারী মোঃ নানা রকমের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়াগেছে।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তাদের প্রতি আইনগত ব্যাবস্থা নিতে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। প্রকৌশলী মোঃ মেজবাউর রহমান এই আবিকা অফিসের আওতাধীন পাঁচটি থানা, রুপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁও, বন্দর ও গজারিয়া নিয়ে গঠিত অফিসের প্রধান।
জোনাল বিক্রয় অফিস সোনারগাঁও এর কর্মরত জোনাল বিক্রয় অফিসের ব্যাবস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ মেজবাউর রহমান ঠিকাদারী প্রতিষ্টান প্রিন্স ডকইয়ার্ড এন্ড শীপ বিল্ডার্স এর প্যাড ব্যাবহার করেই এই আবিকা অফিসের আওতাধীন পাঁচটি থানা, রুপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁও, বন্দর ও গজারিয়া এলাকার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্টানের নতুন সংযোগ, লোডবৃদ্ধি ও লোডপুনঃবিন্যাসসহ সকল ধরনের কাজগুলো করে থাকেন।
উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ আব্দুল কাদের খান লিটন। এই লিটন ঠিকাদার ও ব্যবস্থাপক মেজাবাউর রহমান বাহিরের গুন্ডা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজগুলি করে থাকেন। অন্য ঠিকাদারকে সোনারগাঁও অফিসে কোন কাজ করতে দেওয়া হয় না। তিতাস গ্যাসের সকল ঠিকাদার জানে যে, সোনারগাঁও অফিসে গেলে কাদির বাহিনীর সন্ত্রাসীরা মারধর করে, ওখানে যাওয়া যাবে না।সন্ত্রাসী কাদিরের ভায়রা ঠিকদার লিটনের ঠিকাদারী লাইসেন্স এর ফিটার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকেন ও শাহিন খানের বাড়ীর কাজের লোক ২ (দুই) জনকে তার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ফিটার নিয়োগ দিয়াছেন। শাহিন খান হল কাদির বাহিনীর প্রধান প্রশ্রয়দাতা। প্রকৌ: মোঃ মেজবাউর রহমান শাহিন খানকে তার রুমে বসিয়ে রাখেন ওনার নিরাপত্তার জন্য ও মোঃ ওসমান কাদিরের জন্য চেয়ার কিনে এনে তার পাশে বসিয়ে রাখেন। প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে মিটার সংযোগ দেওয়ার সময় মিটারটি ৪০% স্লো করে কমিশনিং করা হয়। এই পর্যন্ত অনেক গুলো শিল্প প্রতিষ্ঠানে বাইপাস লাইন সংযোগ দিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রকৌ: মোঃ মেজবাউর রহমান ৪ বছর উপ ব্যবস্থাপক এর পদে সোনারগাঁও অফিসে ছিলেন। বর্তমানেও ব্যবস্থাপক এর দায়িত্ব নিয়ে দাপটের সাথে রাজ্য পরিচালনা করছেন।প্রকৌশলী মোঃ মেজবাউর রহমান এর প্রমোশন হওয়ার পর প্রকৌ: মোঃ সুজাত আলী (ডিজিএম-ভিজিল্যান্স)কে ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা ঘুষ দিয়ে জোবিঅ-সোনারগাঁও এর ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বে আসেন।
দেশ যুগান্তর/আরজে