মুজিব বর্ষে দেশের ২০ জেলার ৭৬ উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সকাল সোয়া ১১টায় গণভবন থেকে এগুলোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশ স্বাধীন করেছেন। এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতার অনেক স্বপ্ন ছিল এদেশ ও মানুষকে নিয়ে। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সময় পাননি তিনি। ৭৫ সালে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাকে সপরিবারে হত্যা করে। আমি ও ছোট বোন বিদেশে থাকায় বেঁচে যাই। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান আমাকে ৫ বছর দেশে আসতে দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনে হাত দেই। তখন সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি। ফলে গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পায়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, তারা আমার প্রতি আস্থা রেখে বারবার ক্ষমতায় এনেছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ শুরু করি। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করি। কমিউনিটি ভিশন সেন্টার তারই একটি। কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে চক্ষু সেবা সারাদেশে পৌঁছে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল উপজেলায় চালু করা হবে এই সেন্টার। কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে অনলাইনে সেবা গ্রহণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে জনগণ।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশকে কারো কাছে ভিক্ষা চাইতে হয় না। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। নিজেরা আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে পারে।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যাগের ফলে দেশের প্রতিটি মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামাঞ্চলেও চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যাগে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার। এই সেন্টার দেশের মানুষের চোখের চিকিৎসায় বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। এজন্য জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। এখন যাতে কেউ চিকিৎসার অভাবে অন্ধত্ব বরণ না করে, সেটা সরকার নিশ্চিত করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী ভালোবাসা দিচ্ছেন বলেই দেশের মানুষ আলো পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান। বক্তব্য দেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা।