পরকীয়ার প্রেমের টানে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করার চেষ্টা করছেন দুলাভাই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলা দোহালিয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত শামছু উদ্দিনের ছেলে কুয়েত প্রবাসী হাফিজ মাওলানা রাশিদ আহমদ নয় বছর আগে সিলেট জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে সপ্না বেগম (৩৫) বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের নয় বছর পর আপন শ্যালিকা আখলিমা বেগম’র (২১) সঙ্গে দুলাভাই হাফিজ মাওলানা রাশিদ আহমদ পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ সম্পর্ক গোপন থাকলেও একপর্যায়ে তা আর গোপন থাকেনি সবার সামনে চলে আসে। গত ঈদুল আযহার আগে বড় বোন সপ্না বেগমের বাড়িতে বেরাতে আসেন আখলিমা বেগম।
আখলিমা বেগমের বিয়ে ঠিক করার কথা শুনে তিনি কুয়েত প্রবাসী দুলাভাইর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যেতে অ-শিকার করেন। আজ ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় সালিস বৈঠক বসেও সমাধান হয়নি। স্ত্রী থাকতে তার আপন বোনকে বিয়ে করা নিয়ে শুরু হয় বিপত্তি।
গত (৬ আগস্ট) গ্রাম্য কয়েকজন মাতব্বরের পরামর্শের বিকালে সালিশ বৈঠক বসে হাফিজ মাওলানা রাশিদ আহমদের বাড়িতে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ সালিশ বৈঠক। সিদ্ধান্ত হয় শ্যালিকাকে বিয়ে করতে হলে স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে। এরপর হাফিজ মাওলানা রাশিদ দীর্ঘদিনের সংসার জীবন ও সন্তানের ভালবাসা ত্যাগ করে স্ত্রী সপ্না বেগমকে তালাক দেওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এ সালিশ বৈঠকে সপ্না বেগম ছাড়াও তার দুই ভাই ও বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মেয়ের বড় ভাই জাকারিয়া বলেন আমার বোনকে উদ্ধার করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া দাবি জানাই।
দোহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু বলেন আমি বিষয়টি অবগত আছি এবং মেয়ের মাকে বলেছি থানায় একটি অভিযোগ করার জন্য।দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম সে বাড়িতে ফিরতে চায় না প্রাপ্তবয়স্ক হাওয়ায় আমরা তার মতের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছি না।