পরকীয়ার প্রেমের টানে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করার চেষ্টায় কুয়েত প্রবাসী দুলাভাই হাফিজ মাওলানা রাশিদ আহমদ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুর গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলা দোহালিয়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত শামছু উদ্দিনের ছেলে কুয়েত প্রবাসী হাফিজ মাওলানা রাশিদ আহমদ নয় বছর আগে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে সপ্না বেগম(৩৫) বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের নয় বছর পর আপন শ্যালিকা আঁখ লিমা বেগম(২১) সঙ্গে দুলাভাই হাফিজ মাওলানা রাশিদ আহমদ পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ সম্পর্ক গোপন থাকলেও একপর্যায়ে তা আর গোপন থাকেনি।
গত ঈদুল আযহার আগে বড় বোন সপ্না বেগমের বাড়িতে বেরাতে আসেন আখলিমা বেগম। আখলিমা বেগমের বিয়ে দিন ধার্য করার কথা শুনে তিনি কুয়েত প্রবাসী দুলাভাইর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাইতে অশিক্ষার করেন। আজ ২১ দিন গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সালিস বসেও সমাধান হয়নি। স্ত্রী থাকতে তার আপন বোনকে বিয়ে করা নিয়ে শুরু হয় বিপত্তি।
এ সালিশ বৈঠকে সপ্না বেগম ছাড়াও তার দুই ভাই ও বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মেয়ের মা প্রতিবেদকে বলেন আমার মেয়েকে আটকে রাখা হয়েছে। উদ্ধার করে আমার বুকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই।