বগুড়ার ধুনটে রিতা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বার শুক্রবার সকালে মার্কেট করতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়। এঘটনায় পরের দিন শনিবার ওই গৃহবধূর স্বামী সোহাগ হোসেন ধুনট থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে।
অভিযোগ পত্র ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত ৭ মাস আগে উপজেলার বেলকুচি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সোহাগ হোসেন। সে পার্শ্ববর্তি জেলার কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী এলাকার রয়াবাড়ী গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে রিতা খাতুনকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে সোহাগ প্রত্যেহ কাজে যাওয়ার সময় নিজের এ্যাড্রয়েড ফোন বাড়িতে স্ত্রীর কাছে রেখে যায়। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর মোবাইলে স্ত্রীর টিকটক আর অনলাইনে কথা বলার ধরন দেখে সোহাগের সন্দেহ হয়। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথে সোহাগের কোন দন্দ হয়নি। বিয়ের ৬ মাস পর স্ত্রীকে ঢাকার সাভার এলাকার হেমায়েতপুর বেড়াতে নিয়ে যায় সোহাগ। সেখানে হঠাৎই একটি ছেলের সাথে স্ত্রীকে দেখে সোহাগ পরিচয় জানতে চায়। তখন স্ত্রীর সাথে সোহাগের রাগারাগি হয়। পরে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা থেকে ফিরে এসে যথারিতি প্রত্যেহ কাজে চলে যায় সোহাগ। ঘটনার দিন মার্কেটে যাওয়ার কথা বলে সোহাগের কাছ থেকে টাকা চায় স্ত্রী রিতা খাতুন। সোহাগ তার স্ত্রীকে টাকা দিয়ে কাজে চলে যায়। তার স্ত্রী ঘটনার দিন ২৯ সেপ্টেম্বার সকালে মার্কেটে যায়। দিন পেরিয়ে বিকেলের দিকে স্ত্রী ফিরে না আসায় সোহাগ তার শশুরকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে অবগত করে। বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নেয়ার পরেও তার সন্ধান মেলেনি। পরের দিন স্ত্রী নিখোঁজের বিষয়ে ধুনট থানায় সাধারন ডায়রী করে সোহাগ হোসেন।
সোহাগের শশুর লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমি গত ১ অক্টোবর রবিবার ধুনট থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ের সাথে কারো সম্পর্ক আছে এটা আমি জানিনা। মোবাইল ফোনে কারো সাথে কথা বলে এমন খবর মেয়ে নিখোঁজের পর আমার জামাই সোহাগ আমাকে বলেছে। আগে কখনো বলেনি। তাদের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের কোন মনমালিন্য হয়নি। তবে ঘটনা যেটাই ঘটুক না কেন আগে মেয়েকে উদ্ধার করতে হবে। এটা ভেবেই উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে একুই থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।
ধুনট থানার এসআই হায়দার আলী জানান, গৃহবধূ নিখোঁজের বিষয়ে সাধারন ডায়েরী হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলমান রয়েছে#
ধুনট (বগুড়া)প্রতিনিধি: