বগুড়া ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ী গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবার বাঁশ এবং বেতকেই জীবিকার প্রধান বাহক বাপ দাদার ঐতিহ্য হিসেবে আঁকড়ে রেখেছে। কিন্ত বর্তমানে বাঁশ ও বেতের তৈরী বিভিন্ন পণ্য চাহিদা কমে যাওয়া ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকা মানুষ গুলো। স্বল্প দামে প্লাস্টিক ও লোহার তৈরী বর্তমানে জায়গায় করে নিয়েছে প্রযুক্তি র যুগে বাঁশ ও বেত শিল্পের তৈরী মনকাড়া বিভিন্ন পণ্য।
গ্রামে এই বাঁশের বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিস পত্রের কদর কমে যাচ্ছে, হারিয়ে যাওয়ার পথে বাঁশ ও বেতের পণ্য। ধুনট উপজেলায় এই কারিগররা অভাবের তাড়নায় তাদের বাপ দাদার পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশার সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। তবে উপজেলার বথুয়াবাড়ী গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ পরিবার অভাব অনটনের মধ্যেও পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত এই পেশাটি ধরে রেখেছেন।
বাঁশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পণ্যের কদর কমে যাওয়ায় তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কয়েক দশক আগে বগুড়া জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালান হতো বাঁশ ও বেতের তৈরী পণ্য। কিন্তু আজ বাঁশের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ও পণ্যর কদর কমে যাওয়ায় এই শিল্প আজ হুমকির মুখে। বাঁশ ও বেতের তৈরী সামগ্রী যেমন – পাখা, ঝাড়ু, চালুন, টোপা, বাচ্চাদের দোলনা, কুলা, মাছ ধরার খলই সহ বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র গ্রামঞ্চলে সর্বত্র বিস্তার ছিলো। এক সময় বাঁশ ২০-৫০ টাকা বিক্রি করা হতো। এখন সেই বাঁশ ২৫০-৩৩০ পর্যন্ত ক্রয় করা হচ্ছে। কারিগররা বলেন বর্তমানে একটা জিনিস থেকে ১৫-২০ টাকা লাভ করা যায়। তারা বলেন আমাদের এই শিল্পটির উন্নতিকল্পে যদি সরকারি ভাবে অল্প লাভে ঋণ দেওয়া হয়। তাহলে আমরা হারিয়ে যাওয়া শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হবো এবং ভালোভাবে দিন পার করতে পারবো।