নিউইয়র্কে বেড়ে উঠা তরুণ প্রজন্মের শিল্পী ঋর্তিকা ব্যানাজি প্রথম বারের মতো আয়োজিত একক সংগীত সন্ধ্যায় মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। বাংলা, হিন্দি ও হারানোর দিনের অন্তত ডজনখানেক গান পরিবেশন করে প্রবাসীদের মন জয় করেছে ঋর্তিকা ব্যানার্জি।
১১ জুলাই ২০২১, রোববার উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে পিজি কেয়ার প্রোডাকশন হাউজ এককভাবে এ সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল নিউইয়র্কের জনপ্রিয় ‘মাটি ব্যান্ড’। সন্ধ্যার পর যখন ঋর্তিকা ব্যানার্জির সংগীত পরিবেশনা শুরু হয় তখন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় কুইন্স প্যালেস মিলনায়তন। কমিউনিটির বিশিষ্টজনসহ সংগীতপ্রেমিরা যোগ দেন অনুষ্ঠানে। ছুঁটে এসেছিলেন এসম্বলীওইম্যান জেনিফার রাজকমুারও। ঋর্তিকা ব্যানাজি ও পার্থগুপ্তকে শুভাষিশ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেবি নাজনীন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর দুই কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান, ইমিগ্র্যান্ট এল্ডার হোম কেয়ারের চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাহাত মুক্তাদিরসহ বিশিষ্টজনরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিজি প্রোডাকশন হাউজ এন্ড পিজি কেয়ার প্রু’র চেয়ারপার্সন শুকলা দত্ত এবং প্রেসিডেন্ট পার্থগুপ্ত। অনুষ্ঠানে সাউন্ডে ছিল সাউন্ড গিয়ার। নিউইয়র্ক নয় নিউজার্সিসহ আশপাশের রাজ্য থেকেও ঋর্তিকার স্বজন এবং বন্ধুরা ছুঁটে এসেছিলেন গান শুনতে। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে পার্থগুপ্ত তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেন ‘বিধাতা সহায় থাকলে ঠেকায় কে? রোববার রাতে সেই প্রমাণই আবার পেলাম। আমি ঠিক আগের মতো কমিউনিটির মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, পেয়েছি উচ্ছ্বাস। রোববার রাতে কুইন্স প্যালেসে যেন নেমেছিল আনন্দের বন্যা। নিউইয়র্কে বেড়ে ওঠা ঋর্তিকা ব্যানার্জির একক মনোমুগ্ধকর সংগীতসন্ধ্যায় সূচিত হলো ভালোর এক অপরুপ নিদর্শন। সন্ধ্যার পর ঋর্তিকা আর আমার প্রতিষ্ঠান পিজি গ্রুপকে রীতিমতো আপ্লুত করেছে কমউিনিটির শ্রদ্ধেয় মানুষগুলো। আমাদের প্রতি কমিউনিটির অগ্রবর্তী অংশের প্রতিনিধিত্বকারীরা যে দরদ আর সম্মান দিয়েছে তা ভবিষ্যতের যে কোন কাজের জন্য পার্থিব হয়ে থাকবে।’
পার্থগুপ্ত আরো লিখেন, ‘অনুষ্ঠান নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, ছিল শক্ত মনোবল, সেটির বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলো, যাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা থাকবে উজাড় করা। অনুষ্ঠানের অতিথি, মিউজিশিয়ান, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারসহ যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের ঋণ শোধ করার নয়। নিউইয়র্কের গণমাধ্যমগুলোর অফুরন্ত সহযোগিতাও ভুলবো কোনো দিন।খবর বাপসনিউজ।আটলান্টিকের এ পারে জাগ্রত করেছি নিজের বাসনা কমিউনিটিকে নিয়ে, স্বপ্ন দেখি যা কিছু ভালো তার সঙ্গে। রোববার রাতে পিজি গ্রুপের আয়োজন যে সফলতার পালক যোগ হয়েছে তা ধরে রাখতে চাই আপনাদের সকলকে নিয়ে। এগিয়ে যাবো একা নয়, আপনাদেরকে সাথে নিয়ে। পিজি গ্রুপ আপনাদের পাশে থাকবে অজেয় হিমালয়ের শেরপা হয়ে। কুর্নিশ ভালোবাসায় পার্থগুপ্ত।’