শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রায়পুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে সাবেক সাংসদ খায়ের ভূঁইয়া’র মতবিনিময় কড়ৈতলি বাজারে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চলাচলের সড়কের উপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ রায়পুরে পুরান বেড়ী ইসলামী যুব সংঘ’র ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত রায়পুরে কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ধানের চারা ও নগদ টাকা পেয়ে খুশি লক্ষ্মীপুরের বন্যার্ত কৃষকেরা চরপাতা ফোরামের নির্বাচন অনুষ্ঠিত রায়পুরে চরমোহনা ইউনিয়ন জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পিং ও ঔষধ বিতরণ রায়পুরে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত যুবদল নেতার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, থানায় অভিযোগ যুবদল নেতা ইকবালের নেতৃত্বে সৌদি প্রবাসীর জমি দখল করে দেওয়ার অভিযোগ

নিয়ম মানছেনা ডিলার বিহীন তালতলীর ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা,ভোগান্তিতে কৃষক!

দেশ যুগান্তর প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৯১ বার দেখা হয়েছে

 

বরগুনার তালতলীতে নিয়ম মানছেনা ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা। ডিলার বিহীন দোকানে শত শত বস্তা সার মজুদ করে চড়া দামে বিক্রি করছে নিজেদের পছন্দ মত কৃষকদের কাছে। সার বিক্রিতে সরকারি নিয়ম থাকলেও এসব বিক্রেতারা তা তোয়াক্কা করছেন না।কয়েকজন ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।

 

এমন পরিস্থিতিতে গোটা উপজেলায় ইউরিয়াসহ অন্যান্য সারের কৃত্রিম সংকটের আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা।

 

জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে সাতজন বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার রয়েছেন। এছাড়াও প্রতি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৯ জন সার ডিলার রয়েছে। তবে সরকার অনুমোদিত এই খুচরা ডিলারের পরও রয়েছে কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ী। এরা সরকারি নির্দেশনা মানছে না। বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধ সার মজুদ রেখে বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। এতে প্রকৃত কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে ডিলার এর কাছ থেকে সরাসরি সার কিনতে পারছে না। যার সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।

 

বিসিআইসি সার ডিলারদের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জানা যায়, নিজস্ব দোকান অথবা গুদাম ব্যতীত নিজ বাড়িতেও সার মজুদ রাখার কোন সুযোগ নেই। উপরোক্ত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ । সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে সার বিক্রয় করা যাবে না। যার নামে লাইসেন্স তাকেই ব্যবসা করতে হবে। মজুদ রেজিষ্টার ফর্মেট অনুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে। বিক্রয় রেজিষ্টারে অবশ্যই কৃষকের নাম এবং মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাজারে ১৩৫০ টাকার ইউরিয়া সার চাষিরা কিনছেন ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা বস্তা দরে। খুব গোপনে এভাবে সার বিক্রি করে আসছেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।

 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সার ডিলারদের ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে চাষিদের কাছে সার বিক্রির নিয়ম থাকলেও বেশি দামে বিক্রির কারণে তা করছেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা ও ডিলাররা। কিছু ডিলার সিন্ডিকেট করে এমন নানা কারসাজি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে বিসিআইসি সার বিপুল পরিমাণে অবৈধ মজুদ করে রেখেছেন। ডিলার লাইসেন্স না থাকলেও অবৈধ পথে বিভিন্ন সার মজুদ করে রেখেছেন বেশি দামে বিক্রি করার জন্যে।

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, সার ডিলারদের কাছে সরকারি দরে ক্যাশ মেমোসহ সার কিনতে গেলে সার নেই বলে ছাফ জানিয়ে দেয়। আর বেশি দামে নিলেই পাওয়া যায় পর্যাপ্ত সার। তাই ডিলাররা সারের ১–৫ বস্তার মেমো না করে বিভিন্ন দোকানদারের নামে শত শত বস্তার মেমো করছেন। আর আমাদের মত সাধারণ চাষিদের কাছে মেমো ছাড়া বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাই প্রতিটি ইউনিয়ন বিসিআইসি ডিলারের উচিৎ ডিলার ব্যতিত অন্য কাউকে সার হস্তান্তর না করা।

 

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন হাওলাদার বলেন, খুরচা দোকানে ডিলার ছাড়া সার বিক্রি করা যাবে না। যারা বিক্রি করে আমাদের কাছে তথ্য দিন আমরা প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

তালতলী উপজেলা কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার ছাড়া অন্য কেউ সার বিক্রি করতে পারবে না। যদি কেউ সার বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে#

 

সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা)

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
Don`t copy text!
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102
Don`t copy text!