নীলফামারীর ডোমারে নিখোঁজের একমাস পাঁচদিন পর দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। এবং আলামিন (২৮) সোহেল (৩৮) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ডোমার পৌরসভা থানাপাড়া এলাকার মৃত সাবান আলীর ছেলে।
নিখোঁজের দশদিন পর ২৩ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনকে আসামী করে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ওই স্কুল ছাত্রী ও আলামিনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে অনেকে জানিয়েছে। তারা দুই জনে স্বেচ্ছায় বাড়ী হতে পালিয়েছে এবং মেয়ে নিজেই বলে, ছেলের পরিবারের কোনো সদস্য তাদের সঙ্গে জড়িত ছিল না, সম্প্রতি ফেসবুকে লাইভে এসে তারা নিজেরাই বলেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট সকালে স্কুল যাওয়ার পথে থানাপাড়া চিড়ার মিল নামক স্থান হতে নিখোঁজ হয় ওই স্কুল ছাত্রী। পরে ছাত্রীর পরিবার জানতে পারে, তাদের মেয়েকে আলামিন নামে এক যুবক তার পরিবারের সহযোগীতায় তুলে নিয়ে যায়। এবং ২৩ আগস্ট শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয়জনকে আসামী করে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-১১ , ওই মামলা সূত্রে ছেলের বড় ভাই কে ,ঢাকার কোনা বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন ডোমার থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কমলেশ চন্দ্র বর্মন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৭ সেপ্টেম্বর কালিয়াকৈর থানাধিন শফিপুর এলাকার একটি ভাড়া বাড়ী হতে ছাত্রীকে উদ্ধার ও আলামিনকে আটক করে।
ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তার বাবার জিম্মায় এবং আলামিন ও সোহেলকে রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।