নিহত কামাল উদ্দিন জুয়েল (৩৫) সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মধু মিয়ার বাড়ির আবুল কালামের ছেলে। তিনি ২ সন্তানের জনক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে ধর্মপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ঈদগাঁও মাঠের পোলের গোড়া সংলগ্ন নিহতের মুদি মনোহারি দোকান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহতের ছোট ভাই মোঃ শাহদাত হোসেন মামুন জানান, তার সেজো ভাই জুয়েল একই ইউনিয়নের তাদের বাড়ি সংলগ্ন ২নং ওয়ার্ডের ঈদগাঁও মাঠের পাশে মুদি মনোহরী দোকান করত। পাশাপাশি পরিবাবের দেখ ভালো করত সে। তার তিন ভাই প্রবাসে থাকেন। তাদের দুবাই প্রবাসী দুই ভাই দুবাই থেকে মাঝে মধ্যে হন্ডির ব্যবসা করত। তারা হুন্ডির টাকা বিদেশ থেকে জুয়েলের কাছে পাঠাতো। সে টাকাগুলো বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত সে।
বুধবার দুবাই থেকে হন্ডির মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা জুয়েলের কাছে আসে। রাতে মোবাইলে একটি কল পেয়ে সে বাহিরে যায়। বুধবার রাত ১২টার দিকে আমার ভাবি আমাকে এ বিষয়ে ফোন করে জানালে আমি তার নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
আমি মনে করেছি সে টাকা দিতে হয়তো মাইজদী গেছেন। পরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আমি শুয়ে পড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা দোকানের সার্টার আংশিক খোলা দেখে এগিয়ে আসে এবং তার লাশ সার্টারের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। তাৎক্ষনিক বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
নিহতের পিতা আবুল কালাম বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।, স্থানীয় কিছু লোকের সাথে মসজিদ কমিটি নিয়ে ও জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে এবং তারা হুমকি ধুমকি দিয়েছে। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায় জুয়েল। পরে একটি ফোন পেয়ে দোকানে চলে যায়। কিন্তু আর ফিরে আসেনি।
সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।