মৎস্য নীতিমালা অনুযায়ী যেকোন বিল ইজারা নিলে কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিলে ভাসমান অবস্থায় মৎস্য আহরণের কথা বলা হলেও কোন কোন বিলের ইজারাদারগণ আইন অমান্য করে বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করছেন ইজাদারগণ।
তেমনি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাও ইউনিয়নের কাবিলা জলমহালটিতে বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করে বাজারজাত করছে ইজারাদার পক্ষ। ফলে বিলের চতুরদিকে কৃষকদের হাজারো একর আবাদকৃত বোরো জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে শংঙ্কায় আছেন কৃষকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শাল্লা উপজেলার আটগাও ইউপির ভাটি মাহমুদ নগর মৌজার, জেএল নং ১২ এবং ৭৩০/১১৫৯/২৫৫৭/১৬৮৪ ও ২৯৪২ নং দাগের ৩৩.৬০ একর এই কাবিলা জলমহালটি ২৬ বাংলা হতে ৩২ বাংলা স পর্যন্ত স্থানীয় বাহারা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারন সম্পাদক সুব্রত কুমার দাস পাঁচ বছরের জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রতিবছর সরকারকে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব দিয়ে মোট ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় লীজ নেওয়া হয়। কিন্তু গত দুই বছর ধরে এই সমিতির সদস্যরা আটগাঁও ইউপির শসারকান্দা গ্রামের আব্দুল গণি মাষ্টারের ছেলে মোঃ জিল্লুর রহমান ও পাশ্ববর্তী ফরিদপুর গ্রামের নছর মিয়ার ছেলে মহিবুর রহমানকে দুই বছরের জন্য দুই লাখ টাকায় চুক্তিভিত্তিক বিলটি ইজারা দেয়া হয়। ফলে এই দুই ইজারাদার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তারা প্রশাসনের এবং মৎস্য নীতিমালা লংঘন করে বিলের চতুরদিকে কয়েকটি পাওয়ার পাম্প মেশিন লাগিয়ে বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণ ও বাজারজাত করে অধিক মুনাফা নিচ্ছেন। ফলে এই বোরো মৌসুমে ও বিলের চতুরদিকের কৃষকরা তাদের রোপনকৃত জমিতে পানি সেচ করতে না পারায় দুচিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এই বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণ যেন ইজারাদারগণ করতে না পারেন সেই লক্ষ্যে স্থানীয় জাকির হোসেন গত ২১ ফেব্রুয়ারী) শাল্লা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থানার অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও গত তিন দিনেও বিলের তলা শুকিয়ে মৎস্য আহরণ বন্ধ করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। ফলে ইজারাদারগণ কৃষকদের বৃহত্তর স্বার্থকে জ্বলাজ্ঞলী দিয়ে শনিবার বিল শুকিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। খবর পেয়ে শাল্লা থানার এসআই শাহীন মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী জাকির হোসেন জানান, তিনদিন হলো অভিযোগ দেয়ার পর কৃষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি। তিনি এই সমস্ত ইজারাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করছেন। এ ব্যাপারে ইজারাদার জিল্লুর রহমান জানান বিলে মেশিন লাগানো হলেও বিলের তলা শুকিয়ে তারা মৎস্য আহরণ করছেন না। এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান যারা মৎস্য নীতিমালা লংঘন করে বিলের তলা শুকিয়ে মাছ ধরছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #
সেলিম মাহবুব,সিলেটঃ