বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নতুন নিয়মে কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দক্ষ, মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হবে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, বিপিএম (সেবা) জানান। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ লাইন্সের অডিটোরিয়ামে এ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী, আব্দুর রশিদ(অপরাধ), ফয়সাল মাহমুদ(সদর সার্কেল), হেলেনা আক্তার (সদর হেডকোয়াটার্স) এবং জেলা পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার বলেন, এ নিয়োগে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং ৭টি ধাপ অতিক্রম করার পরেই নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। ধাপ হলো- প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং, শারীরিক মাপ ও সক্ষমতা যাচাই, লিখিত পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা, প্রাথমিক নির্বাচন, পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তকরণ।
তাছাড়া কনস্টেবল পদে নিয়োগে ১৪০ টাকার বাইরে চাকরির জন্য কাউকে এক টাকাও দিতে হবে না। কোন দালাল অথবা প্রতারকচক্র যাতে প্রতারণা করতে না পারে, সেজন্য কঠোরভাবে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা ও সাইবার শাখা কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রকাশ করা নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত ভিডিও প্রদর্শন ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি মসজিদগুলোতে শুক্রবার জুম্মার নামাজে পুলিশ কর্মকর্তারা স্থানীয়ভাবে প্রচারণা চালাবেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, কোন প্রার্থী যদি প্রতারণা কিংবা অসদুপায় অবলম্বন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলায় এবার মোট ৭১ জনকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হবে। এদের মধ্যে পুরুষ ৬০জন এবং বাকি ১১জন নারী। তবে বগুড়ায় ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর শারীরিক মাপ, ১৯ নভেম্বর লিখিত এবং ২৬ নভেম্বর মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।