ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়েছিলেন ভূঁইয়া গার্মেন্টসের (২৯২ নং দোকান) ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম ভূঁইয়া। সকাল ৬টার দিকে যখন বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পান, শনির আখড়ার বাসা থেকে দৌড়ে গিয়ে দেখেন গোটা মার্কেট জ্বলছে।
ব্যাংক লোন করে একদিন আগে আনা কাপড়ের লট ছিল রিয়াজে দোকানে, ঈদের আগ দিয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে তার আর্তনাদ যেন থামছে না।
“আমার দোকানের কোনো কিছুই বাইর করতে পারিনি। আমি পথে বসে গেছি, আমার কিছুই নাই। দোকানের ক্যাশ ড্রয়ারে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা রেখে আইছিলাম। ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল, সব কিছু পুইড়া গেছে।”
স্থানীয় লোকজন ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন এই ব্যবসায়ীকে, কিন্তু কিছুতেই যেন নিজেকে বোঝাতে পারছিলেন তিনি। আক্ষেপ করে বলছিলেন, “সেহেরি খেয়ে দোকানে আসলে হয়ত কিছু মালামাল বের করতে পারতাম।”
আমি এখন নিঃস্ব, ভাঁড়া বাসায় থাকি, কিভাবে স্ত্রী সন্তান নিয়ে দু-বেলা ডাল-ভাত খাবো! আমার আর কিছুই রইলো না। আমি শূন্য হয়ে গেছি, কেমন চলমু। আল্লাহ গো…।”
উল্লেখ্য, ঢাকা বঙ্গবাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরই আর্তনাদ এখন এমন; মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা ১০ মিনিটে দেশের অন্যতম বড় এই কাপড়ের মার্কেটে আগুন লেগে জীবিকার সহায়-সম্বল হারিয়েছেন তারা। আগের দিনও কোটিপতি ছিলেন অনেকেই। এখন তারা নিঃস্ব।
দেশ যুগান্তর/আরজে