বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম শুভ জন্মদিনে জামালপুর জেলা যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে এক আলচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ আগষ্ট ( রবিবাার) শহরের বকুলতলাস্থ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জামালপুর জেলা যুব মহিলা লীগ।
জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমা এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী।
জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজনীন আক্তার রুমীর সঞ্চালনায় আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় শোক দিবস বাস্তবায়ন উপকমিটির আহবায়ক জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন তরফদার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিনা আকাশ,সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারজানা ইয়াসমিন লিটা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু,জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় নিজের ঘরের আসবাবপত্র, অলঙ্কার বিক্রি করেও দল ও নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হয়েও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন তিনি। আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে তুলে ধরতেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অবদান রেখেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় সহধর্মিণী,মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১-তম শুভ জন্মদিনে তাঁর অমর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। জাতির পিতার নাম স্বদেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী পরম শ্রদ্ধায় উচ্চারিত হওয়ার নেপথ্যে ছিলেন তাঁর প্রিয় সহধর্মিণী। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একজন আটপৌরে বাঙালি রমণী হয়ে যে স্বকীয় ছাপ রেখেছেন, এবং চূড়ান্ত বিজয় স্বাধীনতার পরে শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে সমাজ-সভ্যতা বিনির্মাণে তিনি যে অবদান রেখেছেন।