জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী পৌরসভার কামরাবাদ গ্রামের দরিদ্র কৃষকের ছেলে রফিকুল(৪৮) দেশবাসীর কাছে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছেন।
রফিকুল জানায়, আজ থেকে (১১) বছর আগেও সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম এক যুবক ছিলাম আমি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এখন আমি বিছানা বন্দি ও মৃত্যু পথযাত্রী। দিনমজুরের কাজ করে আমি আমার সংসার চালাইতাম। আমার বাবাও কৃষি কাজ করতো। খুব সুন্দর একটি পরিবার ছিল আমার। আমার তিন সন্তান, মা বাবা ও স্ত্রীকে নিয়ে হাসিখুশিতেই দিন কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে, ২০১০ সালে গাছ থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে আমার পিঠের মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যায়। সাথে সাথে আমি জ্ঞানশূন্য হয়ে পডি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার জানায় পিঠের মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে আমি আর স্বাভাবিক ভাবে জীবন-যাপন করতে পারব না। আমাকে যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারব। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমার চিকিৎসা করা সম্ভব হয় নাই। এরপরে আস্তে আস্তে আমার হাত পায়ের শক্তি কমে আসে। একদিন আমি আমার শারীরিক চলা ফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। তারপর থেকে একদম বিছানা বন্দী হয়ে যাই আমি।
রফিকুলের স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমার শ্বশুর চিকিৎসার জন্য নিজের সহায়-সম্বল যা কিছু ছিল সব বিক্রি করে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে। কিন্তু তাতেও কোন ফল হয় নাই। ঢাকার ডাক্তার তাদের জানায়, ইন্ডিয়াতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে রফিকুল আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। কিন্তু সে সময় বা এখনই কোনভাবেই এতগুলো টাকা জোগাড় করার মত সামর্থ্য তাদের নাই। পাশে এসে কেউ দাঁড়ানোর কেউ নাই । আমরা এখন রেললাইনের বস্তিতে বাস করি। বাধ্য হয়ে রফিকুল এর পরিবার রফিকুলকে সেভাবেই ফেলে রেখেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ রফিকুল শয্যাশায়ী অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিদিন তার ওষুধ কিনতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ব্যয় হয়। রফিকুলের পরিবারের পক্ষে যা বহন করা সম্ভব নয়। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় কোন ভাবে ওষুধের ব্যবস্থা করে তার স্ত্রী।
রফিকুল তিন সন্তানের জনক। টাকার অভাবে যাদের হয়নি পড়াশোনা। সন্তানেরাও শিশু শ্রমের মাধ্যমে যতটুকু আয় করে তা দিয়ে কোন রকমে তাদের একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কেটে যায়। রফিকুলের বাবা এখন বৃদ্ধ। তিনি নিজেও অসুস্থ ও ডায়াবেটিসের রোগী। সে এখন পরিশ্রম করতে পারে না। রফিকুলের ছোট ছোট ছেলেরা কাজ করতে না পারলে তাদের মুখে অন্ন জোট না। বিধায়, শয্যাশায়ী রফিকুলের জীবন এখন দুর্বিষহ।
রফিকুল চোখের পানি মুছতে মুছতে জানান,কিছু দিন আগে আবার নতুন করে মলদ্বারের কাছে একটা ফোড়া বের হয়ে ফেটে যায়। পরবর্তীতে সেই ফোড়া টা মলদ্বারের হাড়ের সঙ্গে ইনফেকশন করে। আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ঢাকা সিআরপি হসপিটাল এ নিয়ে গেলে ডাক্তার আমাকে সার্জারি করতে বলেন। যার খরচ বাবদ আমাকে দিতে হবে লক্ষাধিক টাকা। আমি এত টাকা পাবো কোথায় ? অশ্রুসিক্ত রফিকুল শয্যাশায়ী হয়েও বাঁচার স্বপ্ন দেখে।
রফিকুল এর স্ত্রী রফিকুলের চিকিৎসা ব্যয় ভার বহন করতে না পেরে সমাজের বিত্তবান, রাজনৈতিক মহল, প্রশাসন, এবং দেশবাসীর কাছে সাহায্য চায় । এর আগে টাকার অভাবে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি।
তাই দেশবাসীর কাছে রফিকুল এর সন্তানদের অশ্রুঝরা আবেদন, যে যা পারেন তাই দিয়ে আমার বাবাকে আপনারা বাঁচান। রফিকুলের চিকিৎসা বাবদ বর্তমানে ২ লক্ষ টাকা লাগবে। যা রফিকুলের পরিবারের পক্ষে কোনভাবেই বহন করা সম্ভব নয়।
মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য। এগিয়ে আসুন মানবতার জন্য। মানবতা, মহৎ ও উদারতা মানুষকে মহৎ করে তুলে। সমাজের মহৎ ও দানশীল ব্যক্তিগণ উদারতার হাত বাড়ালেই একজন অসহায় মানুষের জীবন বেঁচে যেতে পারে। তার সন্তানেরা হয়তো তাদের বাবাকে ফিরে পেতে পারে। এক অসহায় স্ত্রী ফিরে পেতে পারে তার স্বামীকে। এক বৃদ্ধ বাবা হয়তো ফিরে পেতে পারে তার বুকের ধনকে।
আমরা অনেকেই বিভিন্ন ভাবে টাকা পয়সা খরচ করি। অনেকেই সিগারেট চা পান ইত্যাদি বাবদ ৫০/ ১০০/ ৫০০টাকা খরচ করি। সেখান থেকে একদিনের অপচয়ের টাকা রফিকুলের চিকিৎসা বাবদ যদি দেওয়া হয়, তাহলে রফিকুল এর পরিবার উপকৃত হবে।
আমরা যে যা পারি, ৫০/১০০/৫০০ টাকা করে সহযোগিতা করি। ইনশাআল্লাহ তার চিকিৎসা হবেই।দশের লাঠি একের বোঝা কথাটা আমরা সবাই জানি। আসুন মানবতার ডাকে সাড়া দিন। মানুষ হয়ে মানুষের জন্য কিছু করুন।
আর দেরি না করে, এখনি আপনার হাতের মোবাইলটি নিয়ে নিম্নের দেওয়া বিকাশ অথবা নগদ এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিন যার সামর্থ যত। আপনার একটু সহযোগিতা বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ।
আসুন আমরা আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করি।
বিকাশ(পার্সোনাল) ০১৭৫৩০১৪৪৮২
নগদ (পার্সোনাল) ০১৯৩৬৫২২৮৪৮
অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে না পারলেও অন্তত একটি শেয়ার করে সাহায্য করুন।