সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামে ফুটবল খেলা নিয়ে বাচ্চাদের ঝগড়া নিয়ে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় দুই ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ ও ২২ তারিখে। আহতর ছাত্ররা হলেন কান্দিগাঁও গ্রামের জগন্নাথ পালের মেয়ে ও স্থানীয় সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এস এস সি পরীক্ষাথী জ্যোতি রানী পাল(১৬) ও তার পিসি (ফুফু) একই গ্রামের হরকুমার পালের মেয়ে ও সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের আই এ প্রথম বর্ষের ছাত্র বণ্যা রানী পাল(২০)। তারা দুজন বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৪০৯ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারী জগন্নাথ পালের ছেলে উৎস পালের(১০) সাথে গ্রামের খেলার মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে একই গ্রামের ধনাই পালের ছেলে রিপন পাল(২২) ও তার ছোট ভাই অমিত পালের কথা কাটাাকটির এক পর্যায়ে তারা দুই ভাই ও তাদের পিতা ধনাই পাল মিলে দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে উৎস পালকে পিঠিয়ে ও কিল ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে। অবুঝ শিশু উৎস পালের চিৎকার শুনে তার আপন বড়বোন এস এস সি পরীক্ষার্থী জ্যোতি রানী পাল ঘটনাস্থলে গেলে ঐ হামলাকারীরাও ঐ ছাত্রীকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি ও কিল ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে। এদিকে পরের দিন গত ২২ ফেব্রুয়ারী এই ঘটনার জের ধরে বন্যা রানী পাল কলেজ থেকে ক্লাস সেরে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বাড়ির সামনে তাকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের হামলাকারীদের স্বজন সুভাষ পাল,তার স্ত্রী স্বপ্নাঁ রানী পাল, ও তাদের ছেলে সুবল পাল,তার স্ত্রী দিতি রানী পাল,এবং সভাষ পালের ছোটভাই দেবাই পালের স্ত্রী সুমা রানী পাল মিলে লাঠিসোটা নিয়ে কলেজছাত্রী বণ্যা রানী পালকে পিঠিয়ে ও কিল ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে। আহত দুছাত্রী বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত এই দুই শিক্ষাথীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দু’জনই এস এস সি পরীক্ষা ও ইন্টার প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলমান থাকার পর ও পরীক্ষা দিতে পারছেন না। এ ঘটনায় আহত কলেজছাত্রী বন্যার ভাই অনুপম পাল বাদি হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারী হামলাকারীদের অভিযুক্ত করে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে হামলাকারী ধনাই পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলা ও মারামারির ঘটনাটি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কাজি মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষ প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##