নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল, নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদ করায় লক্ষ্মীপুরে দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ভূমি) উপ-সহকারী আরিফুর রহমান (৪৪) ও মোহাম্মদ ওমর ফারুককে এলোপাতাড়ি মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ শ্রমিককে হোটেল থেকে আটক করে।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত ভূমি কর্মকর্তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অলি উল্লাহ।
এর আগে, সকাল ৮টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মোহাম্মদীয়া নামের হোটেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা হোটেল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ হোটেল কর্মচারিকে আটক করে।
আহত মো. আরিফুর রহমান রায়পুর উপজেলার চর বংশি ইউনিয়ন (ভূমি) উপ-সহকারী ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্ছানগর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদের ছেলে। ওমর ফারুক সদর উপজেলার উত্তর হামছাদি ইউনিয়ন (ভূমি) উপ-সহকারী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েতর উল্ল্যার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তর তেমুহনী এলাকায় মোহাম্মদীয়া হোটেল কর্তৃপক্ষ বিকৃতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় ওই হোটেলে খাবার খেতে এসে পতাকার অবমানার প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন (ভূমি) কর্মকর্তা ওমর ফারুক। এতে হোটেলের ম্যানেজার রাকিবের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চড়থাপ্পড় দেওয়া হয় হোটেল ম্যানেজারকে।
এতে হোটেলের শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুকের ওপর হামলা চালায়। ফারুককে রক্ষা করতে গিয়ে আরিফুর রহমানও হামলার শিকার হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই হোটেলের ১২ কর্মচারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি ফৌজদারি অপরাধ। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা নিতে সদর থানাকে বলা হয়েছে।