সিলেটের বিশ্বনাথে দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আবারক আলী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উচ্চ আদালতের (ঢাকার হাইকোর্ট) রায়ের প্রেক্ষিতে সিলেট কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৮ আগস্ট আমতৈল পিছেরমূখে ‘আমতৈল ও ধলিপাড়া’ গ্রামবাসীর মধ্যে সৃস্ট সংঘর্ষের মামলায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
ওইদিন সন্ধ্যায় সিঙ্গেরকাছ পাবলিক বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেতিনি সিঙ্গেরকাছ পশ্চিমগাঁওয়ের মৃত হাজী রাশিদ আলীর ছেলে। এছাড়া ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডির সভাপতিও তিনি।
এর সাতদিন আগে (গত ১ আগস্ট) ওই মারামারির ঘটনার সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্তা নেই, ওইদিন তিনি ঘটনাস্থলেও ছিলেননা এমনকি মামলার বাদীও তাকে আসামি করেননি জানিয়ে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত দিয়েছিলেন আবারক আলী।
এ বিষয়ে কথা হলে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মহামান্য হাইকোর্টটের রায়ের কপি সিলেটের চীফ জ্যুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে দাখিলের পর আবারক আলীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৮মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ট্রাক আটকানো নিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ-লামাকাজি সড়কের আমতৈল পিছেরমূখে ‘আমতৈল ও ধলিপাড়া’ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
এতে দুই গ্রামের ৩০জনসহ ৫পুলিশ সদস্যও আহত হন। এ ঘটনার প্রায় একমাস পর গত ২৯ এপ্রিল ৬২জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ধলিপাাড়ার নাজমুল ইসলাম শিপু, (মামলা নং ২৯)।
মামলায় আরও ২৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। ওই মামলায় ৪১ নং আসামি করা হয় বিএনপি নেতা আবরক আলীকে।
তবে, তার দাবি ওই মারঘটনাস্থলে ছিলেন না এমনকি মারামারি সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততাও নেই।
এমন অভিযোগ এনে গত ১ আগস্ট সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত দেন আবারক আলী।
কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার সাতদিনের মাথায় গ্রেপ্তার হতে হয় তাকে।